ছাত্রীকে বিয়ে করা আলোচিত দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থেকে পদত্যাগ করেছেন। শনিবার খন্দকার মুশতাক আহমেদ এ তথ্য জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বরাবর তার পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি। শনিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের স্বাক্ষরের পর এ-সংক্রান্ত লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়।
আদেশে বলা হয়, আসামি খন্দকার মুশতাক আহমেদকে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনে এবং ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের কম্পাউন্ডের ভেতরে প্রবেশে বারিত (নিষিদ্ধ) করা হলো।
পদত্যাগপত্রে মুশতাক লেখেন, আমি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্কুল কমিটি থেকে পদত্যাগ করছি। যা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে আমি আশা করছি। আইডিয়াল স্কুলের কমিটিতে থাকাকালীন সময় আমার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমার জীবনের এই মুহূর্তে আমি এমন একটি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যা সত্যিই আমার হৃদয় ভেঙে দেয়।
এর আগে গত ২১ আগস্ট আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ধর্ষণ মামলায় রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে স্কুলের ত্রিসীমানায় যেতে নিষেধ করে আদেশ দেন।
এমন অপ্রীতিকর ঘটনার পর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে খন্দকার মুশতাকের গভর্নিং বডির সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে বলে গত কদিন আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
উল্লেখ্য, খন্দকার মুশতাক গভর্নিং বডির সদস্য থাকাকালে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করেন। এই বিয়ে নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।