বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ফলে ডিপজল আপাতত এ পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
সোমবার (২০ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনা তদন্তের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন নিপুণের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
অনিয়মের অভিযোগ তুলে সমিতির নির্বাচনের (২০২৪-২৬) ফলাফল বাতিল এবং নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে ১৪ মে রিটটি হয়। রিটটি করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
গত ১৯ এপ্রিল সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট হয়। ২৩ এপ্রিল ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ডিপজলের চেয়ে ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ।
সমিতির গত মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা নিপুণ এবারের নির্বাচনে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। এই অভিযোগে তিনি নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আপিল বোর্ড কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় রিট করা হয় বলে জানান রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী।
হাইকোর্টের আদেশের পর মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, ‘আমি বরাবরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হাইকোর্ট যেহেতু রায় দিয়েছেন এখানে কিছু বলার নাই। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে দুই এক দিনের মধ্যে আমরা চেম্বার জজ আদালতে যাব।’
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ফুলের মালা দিয়ে নতুন কমিটিকে বরণ করে নেওয়ার একমাস পর আবার কমিটি বাতিল চাওয়ার পেছনে বড় শক্তি আছে বলে মনে করেন ডিপজল। তার কথায়, ‘এটার পেছনে অবশ্যই বড় শক্তি আছে। যেহেতু দেশের বাইরে থেকে সে (নিপুণ) এসব করছে সেহেতু বুঝতে হবে তার পেছনের হাত লম্বা।’