মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নের নিরালী হামিদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী নয়ন তারা কে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একই গ্রামে রকমতের ছেলে মোহাম্মদের সাথে জোড় করে বিয়ে দেয়ার সকল আয়োজন চলছিল আজ শুক্রবার দুপুর বেলা।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায় বিয়ের সকল আয়োজন চলছিল জেলা আইনজীবী সমিতির ১ নং ভবনে ধামশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. ইদ্রিস আলীর নিজের চেম্বারে।
ঠিক সেই মূহুর্তে খবরটি চলে যায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে, তবে তিনি ঘটনা স্থলে পৌছানোর পূর্বেই সেখান থেকে সটকে পড়েন সবাই।
এ ব্যপারে ধামশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. ইদ্রিস আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগের কোন সত্যতা নেই, একটি মামলার রিকল দিয়ে আমি বাড়ী চলে আসছিলাম। রেহানা নামের একটি মেয়ের সাথে কে বা কারা সেখানে গেছে সেটা তো আর আমরা বলতে পারি না। এসব বাল্যবিবাহের প্রতিবাদ তো আমি নিজেই করি। আমি একজন চেয়ারম্যান হিসেবে জেনে শুনে ১৩বছরের একটি মেয়ের বিয়ের আয়োজন কখনই করতে পারিনা।
বিষয় টি সর্ম্পকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল জানান, আমরা একটি বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে তৎক্ষনাত অভিযান পরিচালনা করি তবে আমাদের আসার খবর পেয়ে ছেলে এবং মেয়ের পরিবারের সবাই আগেই পালিয়ে গেছে।