পরিবেশ রক্ষা সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৭। প্রতিবেশী দেশ ভারত এ তালিকায় সবার নিচে রয়েছে। আরেক প্রতিবেশী পাকিস্তানের অবস্থান বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ ওপরে। আর পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে ডেনমার্ক।
‘এনভায়রনমেন্টাল পারফরম্যান্স ইনডেক্স (ইপিআই) ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের এমন করুণ চিত্র উঠে এসেছে। ইয়েল ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল আর্থ সায়েন্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক ডব্লিউইএফ-এর সহায়তায় গবেষণাটি করেছে।
গবেষণার ভিত্তিতে প্রতি দুই বছর পর পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন দেশের অবস্থান তুলে ধরতে বৈশ্বিক এ সূচক প্রকাশ করা হয়। এর আগে ২০২০ ও ২০১৮ সালের তালিকায় বাংলাদেশ ১৮০ দেশের মধ্যে ছিল ১৭৯তম। ২০১৬ সালের তালিকায় ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৩। আর ২০১৪ সালের তালিকায় ১৭৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৯।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তালিকায় বাংলাদেশের মতো খারাপ অবস্থানে আছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারত ১৮০তম, পাকিস্তান ১৭৬তম ও নেপাল ১৬২তম। এছাড়া শ্রীলংকার অবস্থান ১৩২তম, মালদ্বীপ ১১৩ ও ভুটান ৮৫তম।
এবারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ডেনমার্ক, দেশটির স্কোর ৭৭ দশমিক ৯০। এ তালিকার শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলোও যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, মাল্টা, সুইডেন, লুক্সেমবার্গ, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ডে ও আয়ারল্যান্ড।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও ভারত তালিকার নিচের দিকে অবস্থান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বায়ুর মান উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমিয়ে আনায় এ দুটি দেশ পিছিয়ে আছে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ রক্ষায় আইন ও প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই, কিন্তু আইনের প্রয়োগে বড় দুর্বলতা রয়েছে। শুধু সরকার নয়, ব্যক্তি পর্যায়েও এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
মোট ১০টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ইপিআই সূচক তৈরি করা হয়। এগুলো হলো বায়ুর মান, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন, ক্ষতিকর ভারী ধাতু, জীববৈচিত্র্য ও বাসস্থান, বনায়ন, মৎস্যসম্পদ, জলবায়ু ও জ্বালানি, বায়ুদূষণ, পানিসম্পদ এবং কৃষি। ১০টি বিষয়ের প্রতিটিতে প্রাপ্ত নম্বর গড় করে বিভিন্ন দেশের অবস্থানের ক্রমতালিকা বা ইপিআই র্যাংঙ্কিং তৈরি করা হয়। এবারের তালিকায় বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ২৩ দশমিক ১০।