অনাস্থা ভোটে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর পাকিস্তানে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই। দেশটির পার্লামেন্ট অধিবেশনে সোমবার (১১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় সংসদ সদস্যদের ভোটে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। খবর জিও নিউজের।
পূর্বঘোষিত সময়ানুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য সোমবার ১১টায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করে দুপুর ২টা করা হয়।
জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ের সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য রোববার (১০ এপ্রিল) দুপুর ২টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরদিন সোমবার দুপুর ২টায় নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পার্লামেন্টে ভোটগ্রহণ হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অবশ্য পাকিস্তানের বিরোধী দল পিএমএল-এনের নেতা শাহবাজ শরিফ অন্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। পাকিস্তানের পরবর্তী নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে পাঞ্জাবের তিনবারের এই মুখ্যমন্ত্রীকে।
এর আগে, শনিবার (৯ এপ্রিল) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে বরখাস্ত হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পার্লামেন্টের ৩৪২ আইনপ্রণেতার মধ্যে ১৭২ ভোটের প্রয়োজন ছিলো, সেখানে তার বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪ টি।
আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে গত ৮ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব আনে পাক বিরোধী দলগুলো। এ অনাস্থা প্রস্তাবটি সংসদে উঠলে সেটিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে সেটি খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি।
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পর ইমরান খানের আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
এরপর বিরোধীরা আদালতের শরণাপন্ন হলে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট অনাস্থা ভোট খারিজ করার ওপর নোটিশ দেন। টানা পাঁচ দিনের শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ ও জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ঘোষণা করে শনিবার (৯ এপ্রিল) অনাস্থা প্রস্তাব প্রক্রিয়ার সুরাহা করার আদেশ দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।