পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল আউয়াল।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউর বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রধান কার্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
গবেষকদের গবেষণার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুদানে বিজেআরআই’র নয়টি প্রকল্পের অগ্রগতি এবং ফলাফল পর্যালোচনা শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বিজেআরআই।
সেমিনারে বিজেআরআই মহাপরিচালক বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুদানের গবেষণায় একদিকে যেমন গবেষণার দক্ষতা বাড়ছে, অন্যদিকে বিদেশের মাটিতে সরকারের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের পরিবেশকে টিকিয়ে রাখতে হলে পাট উৎপাদন করতে হবে। স্বাধীনতার উত্তরকালে দেশে পাট উৎপাদনে জমির পরিমাণ ছিল ৮ লাখ হেক্টর, উৎপাদন ছিল ১২ লাখ মেট্রিক টন। আজকে জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ৫ লাখ হেক্টর, কিন্তু উৎপাদন হয় ১৬ লাখ মেট্রিক টন। আশা করি, দ্রুতই বিশ্বে পাট উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করবো।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. ওয়ায়েস কবির। সভাপতিত্ব করেন বিজেআরআই মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ এবং কেজিএফের জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ ড. মনোয়ার করিম খান।