স্টাফ রিপোর্টার : যখন দেশ স্বাধীন হয়, তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমাদের সোনালী আঁশ, এটাকে ধরে রাখতে হবে। সোনার বাংলাদেশ ও সোনালী আঁশ এটাকে আরও সমৃদ্ধি করতে হবে। বিভিন্ন সময় কালের বিবর্তনে পাটের ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের এই করিমগঞ্জবাসীর মাধ্যমে পাটের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরে আনার নেতৃত্ব দিতে চাই।’
শুক্রবার (১০ জুন) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার কিরাটন মাইজপাড়া এলাকায় কেনাফ এইচসি-৯৫ পাট বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা এক সময় কাজ কারতাম মাঠে, মানে সরেজমিন গবেষণা করতাম। যারা সরেজমিন বিজ্ঞানী, তারা কিছুই জানে না। তাদেরকে মাঠের কৃষকদের মাধ্যমে শিখতে হয়। আমাকে সরকার দায়িত্ব দিয়েছে ডিজি পাঠ গবেষণা ইনস্টিটিউটের। আমি আপনাদেরই মতো একজন মানুষ। পাট সম্পর্কে আপনাদের যে অভিজ্ঞতা। একজন কৃষক ভালো একজন সায়েনটিস্ট। বিজ্ঞানীর চেয়ে বেশি দক্ষ ও অভিজ্ঞতা তার। আমি মাস গেলেই বেতন পাই ও দুই ঈদে বোনাস পাই, আপনারা কি তা পান? না পান না। যদি আজকে আপনার পাটের ফলন নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আপনারা কি টাকা পাবেন? পাবেন না। তাই আপনাদের সেই হিসাব করেই চাষ করতে হয়।
আবদুল আউয়াল বলেন, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি এই কেনাফ কিশোরগঞ্জেই সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়। আপনারাই এই কেনাফ বেশি চাষ করেন, কারণ হলো- শ্রমিক কম লাগে, আগাছা হয় না, পাট খড়ি প্রায় ১৫ ফুট লম্বা হয়, ইন্ডিয়ান জাতের চেয়ে এটা বেশি ভালো ও ভালো দাম পাওয়া যায়।
স্থানীয় কৃষক মো. শফিকুল আলম হারেছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা উপকেন্দ্র কিশোরগঞ্জের প্রধান ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মহিউদ্দিন, পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র কিশোরগঞ্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশরাফুল আলম, পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র কিশোরগঞ্জের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রঞ্জন চন্দ্র দাস প্রমুখ।