বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালি বাজার পানি চলাচলের খালের উপর পাকা স্থাপনা তৈরি করে দোকান ঘর করছেন প্রিন্সিপাল (ভারপ্রাপ্ত) এনামুল হক সহ আরো ১১ জনের একটি দল।
খালের উপর ব্রীজ ও কালভার্ট ঘিরে তৈরীর করতে মানছেন না সরকারি কোন নিয়ম নীতি। খালটি নিজেদের দাবি করে খালের ভিতরে পাকা পিলার নির্মান করে খালের পানি চলাচলের গতিপথ নষ্ট করে পাকা স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা বাণিজ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনামুল হকের লোকজন। এনামুল হক সাবেক প্রিন্সিপাল তার এলাকায় অবৈধ দাপটে মানুষ অতিষ্ঠ খাল নিয়ে মামলা মোকদ্দমা হওয়ার পরেও এই এনামুলের দখল থেকে বাজারের কোন লোক বাধা দেয়ার সাহস পাচ্ছে না।
এ বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধ করলেও মানছে না এনামুল হকের লোকজন। এনামুল প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
কাটাখালী বাজারের খাল দখল করে যারা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন তারা হচ্ছেন এনামুল হক সাবেক প্রিন্সিপাল, মোহাম্মদ বশির, ফোরকান, মোঃ খলিল, মোঃ কামাল, মোঃ জালাল, মোঃ সগীর মোঃ আমীন, বেলায়েত হোসেন ও কবির এই সকল প্রভাবশালীরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে কাটাখালি বাজার খালের উপরেই ভরাট করে পাকা স্থাপনা করছেন। সাধারণ মানুষের ধারণা পাকা স্থাপনা করার পরে জোয়ার ভাটা চলাচলের খালটি বন্ধ হয়ে গেলে হাজার হাজার মানুষ পানি থেকে বঞ্চিত হবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দু’পাশের শত শত একর কৃষিজমি।
প্রশাসনের পাকা স্থাপনা করার নিষেধ থাকলেও এনামুল সাহেব ও তার লোকজন শক্তি প্রদর্শন করে পাকা স্থাপনা তৈরি করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। রাতের অন্ধকারে পাকা স্থাপনার উপরে টিন ও কাঠের ঘর নির্মাণ করছেন। প্রশাসন এসে কাজ বন্ধ করলেও রাতের আধারে সঙ্গবদ্ধ হয়ে পাকা ঘরে স্থাপন করছে।
শিরিন বেগম স্বামী সিদ্দিকুর রহমান নামের একজন নিজেদের পৈত্রিক জমি দাবি করে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও থেমে থাকেনি এনামুল ও তার দলের নির্মম কাজ। এনামুল বলেন আমাদের ক্রয় করা সম্পত্তি আমরা ঘর কষরছি এতে সরকারের কিছু আসে যায় না। বিগত দিন থেকেই আমারা ঘর নির্মাণ জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম এখন সুযোগ হয়েছে তাই করতে যাচ্ছি।
খালের জমিটি নিজের দাবি করে স্থানীয় কিছু লোকজন এবং চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসনকে বিবাদী করে একটি মামলা করেছেন এই এনামুল হক প্রিন্সিপাল ।
মামলা চলাকালীন অবস্থায় পাকা স্থাপনা করার কাজ চালিয়ে যাওয়ার সম্পর্কে স্থানীয় বসবাসকারী লোকজন বলেন খালের উপর যেভাবে প্রিন্সিপাল সাহেব পাকা স্থাপনা তৈরি করেছেন এভাবে করতে থাকলে ভবিষ্যতে খাল বন্ধ হয়ে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে দুপারের মানুষের শত শত একর জমির কৃষি। আদালত চলাকালীন অবস্থায় পাকা স্থাপনা করার নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এনামুল হক জব্বার কারো কথাই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে গুরুত্ব দিচ্ছেন না তার নোটিশ অমান্য করছেন এই এনামুল হক জব্বার।