ইউক্রেনে যুদ্ধে জড়ানোয় এবার শান্তিতে নোবেল বিজয়ীদের সমালোচনার শিকার হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সুইডেনের অসলোতে অনুষ্ঠিত নোবেল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুতিনের কর্মকাণ্ডকে ‘পাগলামি’ এবং ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ীরা। খবর আলজাজিরা ও জিও নিউজের।
বেলারুশ, রাশিয়া ও ইউক্রেনে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় ২০২২ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি, রাশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস বা সিসিলি।
অনুষ্ঠানে মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিসের প্রধান ওলেকসান্দ্রা ম্যাটভিচুক বলেন, বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি শান্তিকামী ইউক্রেনের জনগণ। কিন্তু রাশিয়ার অস্ত্রের ঝনঝনানির কারণে ইউক্রেনের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারছে না।
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস বা সিসিলি। ওই বছর থেকেই ইউক্রেনে সংঘটিত হওয়া রাশিয়ার বেআইনি হামলা নথিভুক্ত করছে সংগঠনটি। সিসিলির তথ্যমতে, ইউক্রেনে গত ৯ মাসে ২৭ হাজার যুদ্ধাপরাধ করেছে রাশিয়া।
মানবাধিকার সংগঠন ‘মেমোরিয়াল’ এর পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান ইয়ান রাচিনস্কি। এ সময় পুতিনকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দেন রাচিনস্কি। বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যা অমানবিক ও অমার্জনীয়।
১৯৮৯ সালে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় মানবাধিকার সংগঠন ‘মেমোরিয়াল’।
বেলারুশের কারাগারে আটক থাকার কারণে সরাসরি নোবেল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি। তার পক্ষে পুরস্কার নেন স্ত্রী নাতালিয়া পিনচুক। পুতিনের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করেন নাতালিয়া। সেইসঙ্গে বিশ্ববাসীকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।