কমেনি কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ। অতিরিক্ত দামে নাজেহাল ক্রেতা। ভারত থেকে পর্যাপ্ত মরিচ আমদানি করা হলেও ভোক্তা পর্যায়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। সেই সঙ্গে ৪০ টাকা দরের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আর দেশি পেঁয়াজ এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (০৭ জুলাই) রাজধানীর মিরপুরকেন্দ্রিক একাধিক বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বেশির ভাগ পণ্যের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া আদা এ সপ্তাহে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, ৫০ টাকা দরের লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। ১২০ টাকা কেজি দরের ছোট সাইজের রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে। তবে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বড় রসুনের দাম অপরিবর্তিত।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি মানের প্রতিটি চাল কুমড়া ৪০ টাকায়, মাঝারি মানের ফুলকপি ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, উস্তা ৬০ টাকায় ও মূলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
ফার্মের মুরগির লাল ডিম ১৪০ টাকা ডজন। গত সপ্তাহে ফার্মের সাদা ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৩০ টাকা। তবে দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির। গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছবাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট চিংড়ি গত সপ্তাহে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে। আকার ও মানভেদে পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৩০০ টাকা কেজি। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে। মাঝারি মানের পাঙ্গাস বিক্রি করা হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে।
এ ছাড়া গরুর মাংস আগের মতোই- ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।