সাতকানিয়া প্রতিনিধি ,মোহাম্মদ হোছাইন:
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম এর এডভোকেট শাহাদাত হোসাইন হিরু তার প্রতিবাদে বলেন, আমার মক্কেল জনাব মোহাম্মদ আরাফাত উল্ল্যাহ্, পিতা-মৃত আবদুল গফুর চৌধুরী, সাং- এজি টাওয়ার, ৫ম তলা, ফ্ল্যাট নং-এ, ভোয়ালিয়া পাড়া, ০৭নং ওয়ার্ড পৌরসভা, থানা/উপজেলা- সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম কে জড়িত করিয়া চট্টগ্রামের বহুল প্রচারিত “সকালের চট্টগ্রাম” অনলাইন সংবাদে আমার মক্কেল এর মালিকানাধীন এজি টাওয়ারের স্থিরচিত্র সংস্থাপন সহকারে “বাড়ীহারা ও নিরাপত্তাহীনতায় রেমিট্যান্স যোদ্ধা জহির” শিরোনামে এক ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, বিরক্তিকর সংবাদ প্রকাশিত/বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ার পেইজে আপলোড করা হইয়াছে। উক্ত সংবাদের বিরুদ্ধে আমার মক্কেলের পক্ষে প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করা যাইতেছে এবং প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
তিনি আরো বলেন, প্রকৃত সত্য এই যে, আমার মক্কেল একজন বিপুল ভোটে বিজয়ী স্থানীয় জন প্রতিনিধি হয়। সাতকানিয়া থানার অন্তর্গত রূপকানিয়া মৌজার বি,এস ২০৫৩/ ৩৩৪নং খতিয়ানের বি,এস ৫০২/৫০৩/৫০৪ দাগ সমূহে অবস্থিত ১৮ ইউনিটের ৫ম তলা পাকা ভবনের ৯টি ইউনিটের মালিক আমার মক্কেল এবং বাকী ৯টি ইউনিটের মালিক তৎ ভ্রাতা জহির উল্ল্যাহ্। উক্ত ভবনের নামকরণ করায় হয় আমার মক্কেলের পিতা-মাতার নামে এজি (এ-আম্বিয়া, জি-গফুর) টাওয়ার নামে। যাহা আমার মক্কেল আরাফাত উল্ল্যাহ্ ও তাহার জেষ্ঠ্য ভ্রাতা জহির উল্ল্যাহ্র যৌথ অর্থে, স্বার্থে নির্মাণ করা হইয়াছে। উক্ত ভবনটি ২০১৫ সনে নির্মাণ করা হইয়াছে। তৎকালীন সময়ে আমার মক্কেল এর বড় ভাই তথা জহির উল্ল্যাহ্ প্রবাসে ছিলেন। উক্ত ভবনের সম্পূর্ণ কার্য্যক্রম আমার মক্কেল আরাফাত উল্ল্যাহ্ পর্যবেক্ষণে নির্মিত হয়। আমার মক্কেল এর বড় ভাই একপর্যায়ে প্রবাস থেকে দেশে ফিরিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে জানিতে পারি যে, জহির উল্ল্যাহ বিদেশে অবস্থান করাকালীন একাধিক বিবাহ করেন। জহির উল্ল্যাহ্, সালমা সিকদার নামক মহিলাকে বিবাহ করার সময় পূর্বের একাদিক বার বিবাহের বিষয় গোপন করেন। জহির উল্লাহ্ প্রবাসে অবস্থান করা কালীন বহু শ্রমিকের অর্থও আত্মসাৎ করিয়াছেন মর্মে জানা যায়। অধিক কালা টাকার মালিক জহির উল্ল্যাহ্ আমার মক্কেল এর মাতা-পিতার নামীয় সম্পত্তি সহ আমার মক্কেলের মালিকানাধীন এজি টাওয়ার এককভাবে গ্রাস করার জন্য পায়তারা করিয়া আসিতেছে। আমার মক্কেল আরাফাত উল্ল্যাহ্কে বিগত কয়েক বৎসরে কয়েক বার রাতের অন্ধকারে প্রাণে হত্যা করার প্রচেষ্টা সহ বহু মিথ্যা ও হয়রানী কর মামলা/মোকদ্দমায় জড়িত করিয়া আর্থিক ও মানসিক ভাবে দূর্বল করার প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হইয়াছে জহির উল্ল্যাহ্।আমার মক্কেল একজন সচেতন সুনাগরিক, জনগণের ভোটে বিজয়ী জনপ্রতিনিধি হয়। তার মান সম্মান ধূলিসাৎ করার লক্ষ্যে উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়াছেন তাহার বড় ভাই জহির উল্ল্যাহ্। ইতিমধ্যে বহু মিথ্যা মামলা/মোকদ্দমা সহ সন্ত্রাসী লোকজন দ্বারা ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি প্রদান করিয়া আসিতেছেন। এমতাবস্থায় আমার মক্কেল জনাব মোহাম্মদ আরাফাত উল্ল্যাহ্ গভীর হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছেন। তার উপর, আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত বিভিন্ন চ্যানেল/সোস্যাল মিডিয়ার পেইজে আমার মক্কেল এর নামে মিথ্যা অপবাদ সহ বিভিন্ন বানোয়াট খবর প্রচার করিয়া আসিতেছেন, তাহার বড় ভাই জহির উল্ল্যাহ্। গত পৌরসভা নির্বাচনেও আমার মক্কেল জনাব আরাফাত উল্ল্যাহ্র বিরুদ্ধে জনমত গঠন পূর্বক অপপ্রচার সহ নির্বাচনে বিরোধীতা চলিয়ে ব্যর্থ হইয়াছে জহির উল্ল্যাহ্। বর্তমানে আমার মক্কেল জনাব আরাফাত উল্ল্যাকে সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন এবং বিতর্কিত করিতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইয়াছেন। তৎ ধারাবাহিকতায় “সকালের চট্টগ্রাম” অনলাইন সংবাদে আমার মক্কেলের মালিকানাধীন এজি টাওয়ারের স্থিরচিত্র সংস্থাপন সহকারে “বাড়ীহারা ও নিরাপত্তাহীনতায় রেমিট্যান্স যোদ্ধা জহির” শিরোনামে এক নেপথ্যে সংবাদ প্রচার/আপলোড করেন। উক্ত শিরোনামের মূল সংবাদের মূল কাহিনী আমার মক্কেলকে উদ্দেশ্যে মূলক ভাবে জড়িত করা হইয়াছে। জহির উল্ল্যাকে বাড়ী হারা করার কথিত সংবাদ সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা বটে।
উল্লেখিত প্রকাশিত সংবাদে কোন সূত্র উল্লেখ করা হয় নাই এবং আমার মক্কেলের বক্তব্যও নেওয়া হয় নাই। প্রচারিত সংবাদ সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিরোধী ও এবং মিথ্যা, হয়রানীকর বটে।