দেশের বহুল প্রচলিত ও মৌলিক আইনগুলো সবার পাঠোপযোগী করতে ইংরেজি থেকে বাংলা ভাষায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য একটি কমিটির নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বাংলা একাডেমি, আইন কমিশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন অনুষদ ও বাংলা বিভাগের সমন্বয়ের কথা বলা হয়েছে।
দেশের সব আদালতে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য মৌলিক আইনগুলোর নির্ভরযোগ্য পাঠ (অথেনটিক টেক্সট) প্রকাশ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ-সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে (ডিজি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে তিনি রিটটি দায়ের করেন।
শিশির মনির জানান, আদেশ হাতে পাওয়ার পর একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। তবে সে কমিটি কত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে, এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
রিট করার আগে দেশের প্রচলিত আইনগুলো বাংলায় রূপান্তরের উদ্যোগ নিতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
১০ আইনজীবীর পক্ষে শিশির মনিরের পাঠানো নোটিশে সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়।
রিটের ওপর রবি ও সোমবার দুই দিন শুনানি শেষে আজ কমিটি গঠনের নির্দেশনা ও রুল জারিসহ আদেশ দেন আদালত।
বর্তমানে দেশের নিম্ন আদালতে বেশির ভাগ রায় ও আদেশ বাংলায় দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতেও বাংলায় রায় ও আদেশ দেওয়ার হার বাড়ছে।