চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শিরিন আখতারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কমিশনের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশনের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শিরিন আখতার চবিতে যোগদানের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঘুষ, অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যেসহ নানা দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
তিনি প্রতিটি পদে নিয়োগের জন্য ১৬ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিতেন।
তিনি আরো জানান, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, সংবিধি ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রায় শতাধিক শিক্ষক নিয়োগ দেন। ২০২৩ সালের ৪ জুন ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। চবির মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ও একই দিনে অন্য একটি সভায় ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন।
স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে নিজস্ব সিন্ডিকেট তৈরি করে ঘুষ নেওয়া ও অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে গোয়েন্দা তথ্যে নিশ্চিত হয়েছে দুদক। শিগগিরই এ বিষয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ