রাজশাহী প্রতিনিধি:-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ হতে অনুদান ও করোনাকালীন আর্থিক চেক রাজশাহীর সাংবাদিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে প্রধান অতিথি থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীতে কর্মরত ৬৯ জন সাংবাদিকের মাঝে ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার এই চেক বিতরণ করেন।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সূবাস চন্দ্র দাস বাদল, বিএফইজে’র যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ রিপন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সভাপতি রফিকুল ইসলাম। আরইউজে সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘অধিকাংশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল অনুমোদন না নিয়েই মনগড়াভাবে তারা সংবাদ পরিবেশন করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে আমি জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করবো।’ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম এই সদস্য আরও বলেন, ‘ছোট্ট এই মহানগরীতে চারটি প্রেসক্লাব। আমি মনে করি এটি একটি অসুখ। এই অসুখ সারানোর জন্য (সবাইকে এক করা) আমি অনেক চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না। সাংবাদিকদের মধ্যে মতের ভিন্নতা থাকতে পারে। তারপরও আমি সবাইকে এক ছাদের নিচে রাখতে চাই। রাজশাহীর সাংবাদিকদের জন্য এই শহরের মধ্যে দেড় বিঘা জমি রয়েছে। সেখানে আমি প্রেসক্লাব কমপ্লেক্স তৈরী করতে চাই। এজন্য সবার আগে এটি অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে হবে। অবৈধ দখলকার মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নিতে আমি রাজশাহীর ডিসি মহোদয়কে অনুরোধ করছি।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং বর্তমান বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কোনো সমস্যার কথা শুনলেই আর্থিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। ক্ষমতায় আসার পর তিনি একটি সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যদি কখনো নাও থাকে তারপরও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট যাতে নিঃচিহ্ন হয়ে না যায় সেজন্য তিনি সংসদে আইন পাস করে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী রূপ দান করেছেন। এজন্য আমি তার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দেশে সার্বজনীন বয়স্ক ভাতা চালু হচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি, এর মধ্যে দেশের প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য একটা ব্যবস্থা যেন থাকে।’
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের মালিকদের অনেকেই নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেনি। আমরা সরকারকে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছি। ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে আমরা মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নবম ওয়েজবোর্ড গণমাধ্যম মালিকরা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হবে।’
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সূবাস চন্দ্র বাদল বলেন, ‘একমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। আমার জানামতে, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে সাংবাদিকদের জন্য এই ব্যবস্থা নেই। সাংবাদিকবান্ধব এমন প্রধানমন্ত্রী আমরা আর পাবো বলে মনে হয় না। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট যাতে আরো গতিশীল হয় এবং এটি যেন সাংবাদিকদের ভরসার স্থল হয়ে ওঠে সেই চেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি। তবে এজন্য সাংবাদিকদেরকে সততার জায়গায় অটুট থাকতে হবে।’