তার নাম মোঃ জুনায়েদ গনি । পেশা হিসেবে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে দাবি করলেও মূলত প্রবাসীদের সাথে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়াটা তার পেশা। ইউএস প্রবাসী আকরাম হোসেনের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে সখ্যতা করেন জুনায়েদ গনি। পরিচয় দেন নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। গনিনগর চৌমুহনী, বিয়ানীবাজার সিলেটে “এমযে গনি ফিস ফার্মিং এন্ড পোল্ট্রি ফার্মের মালিক হিসেবে নিজেকে দাবি করলেও বাস্তবে তার কিছুই নেই। কখনো কখনো র্যাবের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে তার বন্ধুত্ব রয়েছে এমন দাবি করেন (র্যাবের তোলা কিছু ছবি দেখিয়ে) কখনো পরিচয় দেন বাংলাদেশ ওলামালিগের জয়েন সেক্রেটারি সিলেট জেলার , এমনকি এই পদবী দিয়ে তার ভিজিটিং কার্ড করা আছে । পরিচয়ের এক পর্যায়ে আকরাম হোসেন জুনায়েদ গনিকে জানান সিলেটের এক ব্যক্তির কাছে সে বেশ কিছু টাকা পাবে কিন্তু টাকাটা কিছুতেই উঠাতে পারছে না এ কথা শুনে গনি আকরাম কে বলেন তার কিছু ছেলেপেলে রয়েছে যাদেরকে ৬০-৭০ হাজার টাকা দিলেই আকরামের টাকাটা উদ্ধার করে দিতে পারবে কথামতো আকরাম গনিকে ৬৫ হাজার টাকা দেয় এর মধ্যে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলেও গনি টাকা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।
(খোঁজ নিয়ে জানা যায় গণি তার ছেলেপেলেদেরকে টাকা না দিয়ে পুরো টাকায় মেরে দিয়েছে।) এদিকে আকরামের সাথে গুণী নিয়মিত যোগাযোগ করতে থাকে এমনকি গণিত তার স্ত্রী সন্তানদের সাথেও পরিচয় করিয়ে দেয় মোবাইলে কথা হয় সবার সাথে। এখন গনি বুঝতে পারেন তাকে বিশ্বাস করা শুরু করেছে ঠিক তখনই গনি আকরামকে বলেন তার একটি ৩৫ লাখ টাকার এফডিআর ম্যাচিউরড হয়েছে যেটি তার বাবা করে গেছেন নমিনি গনির নামে। এই টাকা উঠাতে ৩-৪ লাখ টাকা খরচ লাগবে আর তার সন্তানদের সমস্যার কথা বলে সর্বমোট প্রায় ৬ লাখ টাকার মতো আকরামের কাছ থেকে এক সপ্তাহের জন্য ধার হিসেবে নেয় যার সব রকম প্রমাণ আকরামের কাছে রয়েছে।
এরপর ধীরে ধীরে সপ্তাহ মাস যখন পেরিয়ে যায় গনি আকরামের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয় এবং আকরাম টাকা ফেরত চাইলে সে একের পর এক ডেট দিতে থাকে এভাবে ছয় মাস পার হলে নানা রকম অজুহাদ দার করায় এক পর্যায়ে আকরামের ফোন রিসিভ না করে তাকে সব নাম্বার ব্লক করে রাখে। পরবর্তীতে গণির স্ত্রী সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর মনোয়ারা ফেরদৌস টাকা ফেরতের আশ্বাস দেন পরবর্তীতে সেও বলে পারলে টাকা উঠিয়ে নিতে। এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় গণী এবং তার স্ত্রী তাদের দুজনেরই মূল পেশা মানুষকে ছলনার ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। এবং এই কারণেই গনি নিয়মিত বাড়িতে থাকে না মাঝে মাঝে রাতের আঁধারে বাড়িতে গেলেও ভোর হওয়ার আগেই চলে আসে। এলাকাবাসী এটাও বলেন লম্বা দাড়ি রেখে জুনায়েদ গনি বেশভুসসাতে নিজেকে এমন ভাবে রাখেন যাতে সহজেই মানুষ তাকে বিশ্বাস করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গনির একাধিক স্ত্রী রয়েছে। অল্পকিছুদিনের জন্য গনি একেক সময় একেক এলাকায় আস্থানা তৈরি করেন এবং সেখানেই বিয়ে করেন মানুষজন যখন তার ভন্ডামী জেনে যায় তখন অন্যত্র পালিয়ে যায়।