বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী ইটমিস্ত্রির হাত ধরে উধাও হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার আটমুল ইউনি
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মরহুম আফজাল হোসেনের ছেলে মো: এনামুল হক প্রায় ৩-৪ বছর আগে স্ত্রী রিমা আক্তার ও শিশু মেয়ে সুরভী আক্তারকে রেখে মালয়েশিয়ায় চলে যান। এই সুযোগে পাশের বাড়ির তোজাম হোসেনের ছেলে ইটমিস্ত্রি মো: আহসান হাবিব (১৮) রিমার সাথে গভীর প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা গোপনে শাসন-বারনের মাধ্যমে মিটমাটের চেষ্টা করে। মান-সম্মানের দিকে তাকিয়ে কেউ মুখে তা প্রকাশ করেনি। স্ত্রী রিমার বিষয়টি স্বামী এনামুল হক মালয়েশিয়ায় বসেই জানতে পারেন। তাই তিনি দেরি না করে ফিরে আসেন দেশে।
এনামুল জানান, এক মাস হলো তিনি দেশে এসেছেন, এর মধ্যে স্ত্রী রিমার সব বিষয় বুঝতে পেরে তাকে শাসন করলে সে উল্টো স্বামীর ওপর ক্ষীপ্ত হন। ঘটনার দিন গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ি কেউ না থাকার সুযোগে সকলের অজান্তে শিশু মেয়ে সুরভীকে নিয়ে রিমা উধাও হয়ে যায়।
এনামুল আরো জানান, অনেক খোঁজাখুজির পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে, রিমা তার প্রেমিক আহসানের হাত ধরে পালিয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রী রিমা নগদ ৯ লাখ টাকা, ৩ ভরি ওজনের সোনার গহনা ও ২টি স্মার্ট ফোন নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন এনামুল।
এদিকে এ ঘটনার জেরে হামলা ও মারপিটের ঘটনায় শহিদুল ইসলাম (রিমার মামা), স্বামী এনামুল, জাকিরুল ও আনারুরসহ উভয় পক্ষের অনন্ত ৫-৬জন আহত হয়েছেন। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। আহতদের মধ্যে শহিদুর ও এনামুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তাদের স্বজনেরা।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে স্বামী এনামুল প্রেমিক আহসান ও তার বাপ-চাচাসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে শিবগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর ও আটমুল ইউনিয়নের বিট পুলিশিং অফিসার মো: স্বপন জানান, মারপিটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানলাম প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এক যুবক পালিয়েছে। বিষয়টি অভিযোগের আলোকে তদন্ত করা হবে।
Tweet
য়নের ফেনিগ্রাম (ফকির পাড়া) গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পরে এর জেরে হামলায় দুই পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।