স্টাফরিপোর্টারঃ ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন অপরাধ দমনের মাধ্যমে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে একজন দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তায় পরিণত হয়েছেন।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় ফরিদগঞ্জ থানাকে তিনি অপরাধমুক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নানান কৌশল অবলম্বন করে অল্প দিনের মধ্যেই জন সাধারণের কাছে তিনি প্রিয় ওসি’র সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোনের নেতৃত্বে থানার এস.আই, এ.এস.আই ও নারী-পুরুষ পুলিশ সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ফরিদগঞ্জ থানায় ওসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে আইন শৃঙ্খলা এবং থানার অবকাঠামোগত ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি থানায় দায়িত্ব নেওয়ার পর মহামারী করোনা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন, এমন কি ভারতীয় ডেল্টা ভার্সনে মৃত্যু বরন কারী প্রথম ব্যক্তির লাশ নিজে জানাজা সহ দাফন করেছেন, ডেল্টা ভার্সনে আক্রান্ত পলাতক রোগীকে আটক করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। করোনায় কাজ করতে গিয়ে তিনি নিজে স্বস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফরিদগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সূদূর প্রসারী কার্যক্রম গ্রহণ করেন এবং সড়ক দূর্ঘটনার মূল কারণ উদঘাটন পূর্বক সমাধান করেন। তিনি নিজে সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগের সাথে আলোচনা করে বর্তমানে ফরিদগঞ্জে বিভিন্ন পয়েন্টে স্পীড ব্রেকার এবং বিল বোর্ড স্থাপন করেন। যার ফলশ্রুতিতে ফরিদগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনার হার অন্যান্য উপজেলা থেকে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।
তিনি বিট পুলিশিং এবং কমিনিটিং পুলিশিং এর মাধ্যমে প্রায় সময়ে গ্রামের সাধারণ মানুষের সাথে মিশে তাদের সমস্যা গুলো সমাধান এবং আইনগত সহযোগিতা প্রদান করেন। থানা ভবনের সৌন্দর্য্য বর্ধনে তিনি থানার মাঠ পাকা করা, পুকুরের ঘাট বাঁধানো, থানার চারপাশে বসার ব্যবস্থা এবং থানার পরিবেশের অভূতপূর্ব পরিবর্তন করেন। অভিযোগকারীর অভিযোগ শ্রবনে তিনি সমাজের সকল শ্রেনী-পেশার মানুষকে সমান ভাবে গুরুত্ব দেন। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক ভাবে অপরাধ নিবারণ মূলক হিসেবে প্রায় সময়ে স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা কিংবা এলাকায় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে আলোচনা সহ সুনাগরিক এবং দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি অন্যায়কারীকে যেমন আইনের আওতায় নিয়ে আসেন, তেমনি নিরাপরাধী কেউ যেমন প্রতিহিংসার শিকার না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখেন। জরুরী সেবা সহ যেকোন সংবাদ পাওয়া মাত্রই পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করে বড় ধরনের ঘটনা প্রতিহত করেন।
তিনি, থানায় দায়িত্ব নেওয়ার পর ফরিদগঞ্জ থানায় রুজুকৃত ২২৯টি মাদক মামলায় ৩০৯জন আসামীসহ ২০হাজার ৮’শ ১২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪০ কেজি ৩’শ গ্রাম গাঁজা এবং ৭০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তিনি দায়িত্ব কালে সর্বমোট ৮৪২ জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ্দ করেন। ৪টি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন, মামলা ও জিডি মূলে ২০২ টি মোবাইল সেট, ০৭টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া কোর্ট হতে প্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা জি-আর ৪৯২, সি-আর, জিআর সাজা ৩৫৫, সিআর সাজা ৩৮, জিআর সাজা ৩৪ সহ সর্বমোট ২২৯ আসামীকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, মাননীয় পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) স্যারের নির্দেশনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সবসময় কাজ করছি। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংসহ সকল সামাজিক অপরাধ নির্মূলে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জন সাধারণ কাছে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।