স্টাফরিপোর্টারঃ
রমজানের প্রথম সেহেরীর রাতেই এক দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫ নং গুপ্টি ইউনিয়নের আষ্টা গ্রামের সাত্তার বাড়ির গ্রাম্য ডাক্তার হেলালের ঘরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান পাটোয়ারী ও সংবাদকর্মীরা।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ডাকাতের দল হেলালের ডাক্তারের ঘরের স্টিলের আলমিরা, শোকেচ, ব্রিফকেস, ভেঙ্গে সব তছনছ করে রেখেছে।
এ সময় ডাক্তার হেলালের স্ত্রী সুফিয়া বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ঘরে ছিলেন। হঠাৎ রাত তিনটার দিকে টিনশেড বিল্ডিংয়ের দক্ষিণ পাশের দরজা দিয়ে পুলিশের পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। এবং আমরা দরজা খুললে সাথে সাথে পাঁচ থেকে ছয় জন ঘরে ঢুকে যায়। এবং হেলাল ডাক্তার ও স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে ডাকাত দল বেঁধে ফেলে। এবং হাত-পা বেঁধে মুখোশ পরা ডাকাতরা বিভিন্ন রকম অস্ত্রশস্ত্র দেখিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে ফেলে। এবং স্টিলের আলমিরা ও শোকেচের চাবি নিয়ে যায়। পরে এক এক করে ইস্টিলের ৬টা আলমিরা তিনটা সুকেচ ৭টি ব্রিফকেস সব ভেঙ্গে তছনছ করে ফেলে। এবং এগুলোর ভিতরে থাকা বিভিন্ন আইটেমের ৩৭ ভরি স্বর্ণ ও নগদ প্রায় দুই লাখ টাকা, একটা আইফোন সহ মোট নয়টি মোবাইল সেট, টর্চলাইট তিনটা, দামি কাপড় বিভিন্ন রকম কসমেটিক সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পূর্ব পাশের দরজা দিয়ে চলে যায়। ডাক্তার হেলালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন তার চার মেয়ে কোন ছেলে সন্তান নেই। মেয়েদের বিয়ে দিয়ে ফেলেছেন। মেয়েদের স্বর্ণের জিনিস সহ এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব তার বাড়িতেই থাকতো। ডাকাতের দল তাদের বেদে উল্লিখিত জিনিসপত্র সব নিয়ে যায়। এবং এসব নিয়ে চলে যাবার সময় ডাকাত দল বিভিন্ন রকমের হুমকি দিয়ে গেছে, যেন কোন রকম বাড়াবাড়ি না করি।
ডাকাতির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হাজিগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার সার্কেল অফিসার সোহেল মাহমুদ, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান পাটোয়ারী।