নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেম আব্দুর রহমান। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উঠে আসেন ২০০২ সালের কাউন্সিলে। ২০০৯ সালের কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ হাতছাড়া হয়। শুধু সদস্য করা হয় তাকে। পরে তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন। গত ২০০৮ সালের নবম ও ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। গত নির্বাচনে মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হলেও কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হন।
দলীয় কর্মকাণ্ড বেগবান ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে আ’লীগের দলীয় প্রধান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের কারণে একাদশ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগের ২০১৯ সালের কাউন্সিলে আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতারা ধারণা দিয়েছিলেন যে মন্ত্রী সভার সদস্যদের খুব বেশি দলীয় পদে রাখা হবেনা। যদিও বাস্তবে সেটির প্রয়োগ খুব কমই পরিলক্ষিত হয়। আর তাতেই কপাল পোড়ে আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মেম্বার ও সাবেক এ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানের।
ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান গত নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। আব্দুর রহমানকেও গত পাঁচ বছরে রাজপথে সক্রিয় দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জনসভা, বিভিন্ন এলাকায় সম্মেলন, বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি ছিলেন সরব। সারাদেশ তিনি চষে বেরিয়েছেন। আর তার ফলাফল তিনি পাচ্ছেন হাতেনাতে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ যাবৎকালে করা ৬ জরিপেই ফরিদপুরের আসনটিতে আব্দুর রহমানের নাম আছে সবার ওপরে। তার জনপ্রিয়তা অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের চেয়ে অনেক বেশি।