ঢাকা , রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বিতর্কিত খসড়া সংশোধন না করলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা রাতের আঁধারে জিরানী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল একের পর এক দোকান জনপ্রশাসন সচিব হলেন এহছানুল মরহুম তোফাজ্জল হোসেন স্মৃতি মিনি বার ফুটবল টুর্নামেন্ট–২০২৫, দ্বিতীয় দিনের খেলায় দি রয়েল ক্লাবের দাপুটে জয় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গরু চরাতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া শিশু হুযাইফা (৯) মরদেহ জঙ্গল থেকে উদ্ধার আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি-নাইম লিয়ন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- মিনহাজ রাসেল ‘মুক্তমঞ্চ’-এর কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত জামালপুরের শিহাব সৌদি আরব প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের পক্ষ থেকে এসপিএলের উদ্যোক্তা মিঠুকে সংবর্ধনা রূপ রেখা লালন একাডেমীর ২০ বছর পূর্তি উদযাপন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইসিকে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের চিঠি

সাংবাদিক

 

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এ পত্রের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো।

বুধবার (৬ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর পাঠানো এক পত্রে উল্লিখিত সময়ে প্রত্যাশিত মানের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়ার কথা বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই চিঠি পাঠালো প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের কথা উল্লেখ করে পত্রে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে অবিলম্বে এক্ষেত্রে সকল প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরুর কথা বলেছেন। বিগত ১৫ বছরে নাগরিকদের ভোট দিতে না পারার প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচন যেন মহা-আনন্দের ভোট উৎসবের দিন হিসেবে স্মরণীয় হয় তেমন আয়োজনের ওপর প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে নির্বাচন আনন্দ-উৎসবে, শান্তি-শৃঙ্খলায়, ভোটার উপস্থিতিতে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতায় অবিস্মরণীয় হয়ে ওঠার যে প্রত্যাশা করেছেন তা উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন আয়োজনে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্বারোপের পাশাপাশি একটি প্রত্যাশিত সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রত্যয়ের কথাও নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়।

শেষে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার ভিত্তিতে উল্লিখিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
৬১৩ Time View

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইসিকে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের চিঠি

আপডেটের সময় : ০৪:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

 

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এ পত্রের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো।

বুধবার (৬ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর পাঠানো এক পত্রে উল্লিখিত সময়ে প্রত্যাশিত মানের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়ার কথা বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই চিঠি পাঠালো প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের কথা উল্লেখ করে পত্রে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে অবিলম্বে এক্ষেত্রে সকল প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরুর কথা বলেছেন। বিগত ১৫ বছরে নাগরিকদের ভোট দিতে না পারার প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচন যেন মহা-আনন্দের ভোট উৎসবের দিন হিসেবে স্মরণীয় হয় তেমন আয়োজনের ওপর প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে নির্বাচন আনন্দ-উৎসবে, শান্তি-শৃঙ্খলায়, ভোটার উপস্থিতিতে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতায় অবিস্মরণীয় হয়ে ওঠার যে প্রত্যাশা করেছেন তা উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন আয়োজনে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্বারোপের পাশাপাশি একটি প্রত্যাশিত সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রত্যয়ের কথাও নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়।

শেষে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার ভিত্তিতে উল্লিখিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব।