ঢাকা , রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
‘কেউ যেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে’ সাটুরিয়ায় ব্রীজের মুখ ভরাটের প্রতিবাদে কৃষকদের বিক্ষোভ Free Healthcare for Qatari expatriates লক্ষ্মীপুর জেলা সমিতি দোহা কাতারের উদ্যোগে প্রবাসীদের জন্য বিনামূল্যের স্বাস্থ্য সেবা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, অস্ত্র ঠেকিয়ে চিকিৎসার টাকা লুট পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার সোনারগাঁয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন সালিশে গেলেই দল থেকে বহিষ্কার, বললেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি বনপাড়া পৌর বিএনপির নেতৃত্বে সরদার রফিকুল ইসলামকে ঘিরে জনগণের আশা ব্যারাকে যাওয়ার নির্দেশ বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স সদস্যদের, বিমানবন্দরের দায়িত্বে এপিবিএন ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা

ফ্যাসিবাদী অপশাসনের বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট চূড়ান্ত বিজয়: রাষ্ট্রপতি

সাংবাদিক
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস। বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও ফ্যাসিবাদী অপশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলে ২০২৪ সালের এই দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। ঐতিহাসিক এই অর্জনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমি দেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব শহীদকে, যারা দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। এ গণঅভ্যুত্থানে আহত, পঙ্গুত্ব বরণ করা ও দৃষ্টিশক্তি হারানো বীর জুলাই যোদ্ধাদের ত্যাগ ও অবদানকে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, গুম, খুন, অপহরণ, ভোটাধিকার হরণসহ সব ধরনের অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ও আপামর জনতার ক্ষোভের বিস্ফোরণ। এই বৈষম্যমূলক ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সুনিশ্চিত করাই ছিল এর মূল লক্ষ্য। একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র একটি ব্যাপক সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে, প্রকৃত গণতান্ত্রিক উত্তরণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ– এ আমার একান্ত প্রত্যাশা।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমি ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।”

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ১২:২৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
৮১০ Time View

ফ্যাসিবাদী অপশাসনের বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট চূড়ান্ত বিজয়: রাষ্ট্রপতি

আপডেটের সময় : ১২:২৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস। বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও ফ্যাসিবাদী অপশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলে ২০২৪ সালের এই দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। ঐতিহাসিক এই অর্জনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমি দেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব শহীদকে, যারা দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। এ গণঅভ্যুত্থানে আহত, পঙ্গুত্ব বরণ করা ও দৃষ্টিশক্তি হারানো বীর জুলাই যোদ্ধাদের ত্যাগ ও অবদানকে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, গুম, খুন, অপহরণ, ভোটাধিকার হরণসহ সব ধরনের অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ও আপামর জনতার ক্ষোভের বিস্ফোরণ। এই বৈষম্যমূলক ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সুনিশ্চিত করাই ছিল এর মূল লক্ষ্য। একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র একটি ব্যাপক সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে, প্রকৃত গণতান্ত্রিক উত্তরণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ– এ আমার একান্ত প্রত্যাশা।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমি ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।”