Wednesday , 24 April 2024
শিরোনাম

‘বঙ্গবন্ধু থাকলে বিশ্বে অনেক আগেই উদাহরণ হতো বাংলাদেশ’

৭ মার্চের ভাষণের প্রতিটি শব্দই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হৃদয়ের গভীর থেকে উৎসারিত বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সোমবার (৭ মার্চ) রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৭ মার্চ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলেও পরোক্ষভাবে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধু তার বিশ্বাস ও হৃদয়ের গভীর থেকে ভাষণ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পূর্বে অনেকেই তাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেদিন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন ‘তুমি মন থেকে যা বিশ্বাস করো, সে বিশ্বাস থেকে আগামীকাল বক্তৃতা করবে।’

জাতীয় জীবনে মার্চ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৭ তারিখ জাতির পিতার জন্মদিন ও ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। তাই এ মাস আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের মাস। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিল অত্যন্ত কূটনৈতিক ও কৌশলী। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে তিনি বাংলাদেশের সব খাতের উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই বিশ্বের কাছে উদাহরণ হয়ে উঠতো।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সবার অবস্থান থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য প্রবাসীদের আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী

এসময় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম ভাষণগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অন্যতম। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল প্রাজ্ঞ ও কৌশলী। তাই পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক ৭ মার্চের ভাষণকে নিয়ে বহুমাত্রিক আলোচনা করেছেন। এ ভাষণ নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। ভবিষ্যতে এ ঐতিহাসিক ভাষণ নিয়ে আরও ব্যাপক গবেষণা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে নিউজউইক বঙ্গবন্ধুকে দেওয়া ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ বা ‘রাজনীতির কবি’ উপাধি যথার্থ হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রিয়াদ প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যবসায়ী এম এ জলিল, এম আর মাহবুব ও আব্দুস সালাম।

এসময় দূতাবাসের কাউন্সিলর মো. বেলাল হোসেনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে ৭ মার্চের ভাষণ প্রদর্শন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত। এছাড়া দূতাবাসে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আলোচনায় সৌদি আরবে সফররত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদসহ দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

Check Also

কয়রায় নীতি সমস্যা বিশ্লেষণ ও সমাধান কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ খুলনার কয়রায় ইউনিয়ন পরিষদ জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা ভিত্তিক (সিএসও) নেটওয়ার্ক সদস্যদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x