১৯, সেপ্টেম্বর,২০২২ খ্রি. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪১৩তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,অপরাজেয় বাংলা’র যুগ্ম আহবায়ক ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আব্দুস সাত্তার দুলাল ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে হুমায়ুন কবির ও ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আকতার এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিতেন। তিনি বলেন, নদী বিধৌত বাংলার ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি সবসময় চিন্তা করতেন। সে লক্ষ্যে তিনি নদী শাসন এবং নদীর নাব্যতা রক্ষায় সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন,বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের ব্যাপকতা অসীম। বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ যুদ্ধ করেছিল একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালি জাতির প্রতি সশস্ত্র সংগ্রামের যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তা ছিল ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার প্রতি। তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় বিরোধের কারণে যে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব হয় তা রোধকল্পে তিনি সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় মূল চার নীতির অন্তর্ভুক্ত করেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সে আদর্শকে বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন,বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সাধনার অন্যতম আদর্শ ছিল অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতাবাদ।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার উৎসে আছে পারিবারিক শিক্ষা। বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক শিক্ষা ছিল, যিনি প্রকৃত ধার্মিক তিনি কখনো সাম্প্রদায়িক হতে পারেন না। অন্য ধর্ম ও মানুষের প্রতি সহনশীলতা ও ভালোবাসা প্রদর্শন তাঁর পারিবারিক ঐতিহ্য।
ফারহানা আকতার বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই ইতিহাস সচেতন হতে হবে এবং সচেতন পাঠক হতে হবে। অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে । সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন সহজতর হবে।
সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বলেন,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং সর্বস্তরের মানুষকে অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, পঞ্চগড় থেকে খাদেমুল ইসলাম,রাজশাহী থেকে ডা. এবিএম মাহাবুবুল হক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বায়েজিদা ফারজানা।