৮, সেপ্টেম্বর,২০২২ খ্রি. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪০২তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. জেবউননেসা এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রমিজ আহমেদ সুলতান,রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম, বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী আমাতুন নূর ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আক্তার, কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, ঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক শামসুন্নাহার লাভলী, ছাত্রলীগ নেতা রুবেল শিকদার এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের মহানায়ক। তিনি আরো বলেন, ভোগ নয়, রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিল ত্যাগের। বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে নীতি-আদর্শকে সর্বোচ্চ স্থান দিতেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. জেবউননেসা, বঙ্গবন্ধুর অনেক অজানা এবং সরল সাধারণ জীবন যাপন সম্পর্কে উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে নিমিষেই মিশে যেতে পারতেন তিনি। অহংকার বা দাম্ভিকতা তাঁর মধ্যে ছিল না। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন মানবিক মানুষ,মহান মানুষ।
রমিজ আহমেদ সুলতান বলেন, বাংলার শোষিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের মুক্তিই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের মূল লক্ষ্য ও আদর্শ। যে লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি আজীবন শুধু সংগ্রামই করে গেছেন।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন,বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিজীবন বলতে কিছুই ছিলনা। তাঁর চিন্তা-চেতনা, ধ্যান, স্বপ্ন, কর্ম সবই ছিল দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য। তাঁর পুরো জীবনটাই ছিল বাঙালির জন্য নিবেদিত তাই ফাঁসির মঞ্চকেও কখোনো তিনি ভয় পাননি।
আর্জিনা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দেশের উন্নয়নের জন্য, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার জন্য।
আমাতুন নূর বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির লক্ষ্য নিছক ক্ষমতায় যাওয়া ছিল না। লক্ষ্য ছিল বাঙালির অধিকার আদায় বা জাতীয় মুক্তি অর্জন।
ফারহানা আকতার বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার মাটিকে চিরতরে স্বাধীন করার বীজ বপন করেন ১৯৬৬ সালের ছয় দফা দাবির মধ্যে দিয়ে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক উত্থাপিত ছয় দফা দাবি বাঙালি জাতির স্বাধীকার আন্দোলনের ভিত্তিস্তম্ভ স্বরূপ। ছয় দফা বাঙালির ‘মুক্তির সনদ’।
হুমায়ুন কবির বলেন,বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ এবং দেশপ্রেমের মহিমা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য জানিপপ এর সান্ধ্যকালীন বঙ্গবন্ধু চর্চা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।
শামসুন্নাহার লাভলী বলেন,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি বুকে ধারণ করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
রুবেল শিকদার বলেন, জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক শক্তিশালী।আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ বিশ্ববন্ধুতে পরিণত হয়েছেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, রংপুর সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার ও রাজশাহী থেকে ডা. মাহবুবুল হক ।