সোমবার,১৫, আগস্ট,২০২২ খ্রি. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৭৭তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন চীন থেকে কুনমিং এর কনসাল জেনারেল এ এফ এম আমিনুল ইসলাম এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল, রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ও নেপাল থেকে সংযুক্ত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.জেবউননেসা।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আকতার, বগুড়া থেকে রুরাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমীর উপ-পরিচালক মোঃ মাজহারুল আনোয়ার, সিটিজেন বাংলা ডট কম পত্রিকার সম্পাদক মোশফিক কাজল, নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতিমা-তুজ- জোহরা
এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। বাংলাদেশের সর্বভৌমত্ব রক্ষায় বঙ্গবন্ধু বুক পেতে দিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আজ ১৫ ই আগস্ট। জাতীয় শোক দিবসে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং তাঁর সঙ্গে শাহাদাত বরণকারী পরিবারের ১৮ সদস্যদের । তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কনসাল জেনারেল এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মূলত বাংলাদেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু ছিল তার অবসান হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির দূত। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন সত্তা। বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ ।তাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রাত্যহিক চর্চা অপরিহার্য।
কনসাল জেনারেল এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের শাহাদাত বরণকারী ১৮ জন সদস্যের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের না,বিশ্বের মহান নেতাদের অন্যতম।
সারা বাংলায় বঙ্গবন্ধুর সমান উচ্চতার দ্বিতীয় কোন নেতা নেই।
আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন,বঙ্গবন্ধু ছিলেন মাটি এবং মানুষের নেতা।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতীয় বীর এবং উদার প্রকৃতির মহান নেতা।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজ জীবনের চেয়ে মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতি অধিকতর সোচ্চার ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হারানোর মধ্য দিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত সভ্যতাকে হারিয়েছি। অসভ্য বর্বর ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুর বুকে বুলেট বিদ্ধ করেনি। বিশ্বদরবারে আমাদের অনুগত জাতিত্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
অধ্যাপক ড. জেবউননেসা বলেন, যে সকল হায়েনা আমাদের জাতির পিতাকে হত্যা করেছে তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা জানাচ্ছি। যারা আমাদের জাতিকে এতিম করেছে তাদেরকে অভিসম্পাত করছি। তাদের কারো সঙ্গে আমাদের কোন আত্মীয়তার বন্ধন হতে পারে না। কস্মিনকালেও না।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, ১৫ই আগস্ট কালো রাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করে ক্ষ্যন্ত হয়নি। নরপিশাচদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৮ জন সদস্য। তারা বাঙালির জাতির ললাটে কলঙ্কের তিলক এঁটে দিয়েছে।
আর্জিনা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করলে এ দেশ থেকে অবিচার নির্বাসনে যাবে।
গবেষক ফারহানা আকতার, ‘নতুন প্রজন্মের চোখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ধারাবাহিক বক্তৃতার তৃতীয় পর্ব উপস্থাপন করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন।
কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, আমরা যা বলি তার খুব কমই বাস্তবায়ন করি ।এ ধরনের মনোভাব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, বর্বর ঘাতকদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি।শিশু রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে ।যা কোন ভাবে এবং কোনদিন মেনে নেয়া সম্ভব না।
মুশফিক কাজল বলেন, ঘাতকরা আমাদের জাতিকে এতিম করলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কোনদিন মুছে দিতে পারেনি। পারবেও না কোনদিন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, দিনাজপুর থেকে বীরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মুর্শিদ অর্ণব, রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার ও লিও জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি।