পঁচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর সাংবাদিকরা বন্দুকের নলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর গণমাধ্যম গঠনে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে হত্যা করা হল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আর কেউ পত্রিকায় বঙ্গবন্ধু শব্দটাই লিখতে পারেনি। বন্দুকের নলের কাছে তারা জিম্মি হয়ে পড়েছিল। আমরা সত্য থেকে সরে গিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, সংবাদকর্মীরা দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। কিন্তু বিগত ৫০ বছরেও আমরা সংবাদকর্মীদের যথাযথ স্থান ও মর্যাদা দিতে পারিনি।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের জন্য নানান সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। সাংবাদিক সংগঠনের নেতা যারা আছেন, তারা এখন অলংকারের মতো হয়ে গেছেন। কারণ তাদের সব কথা তাদের আগে প্রধানমন্ত্রীই বলে দেন।’ যোগ করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের কথা বলা হয়, আরও নানান সমালোচনা করা হয়। কিন্তু অষ্টম ও নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের কথা বলা হয় না। একটা রাষ্ট্র সুশৃঙ্খলভাবে চলতে হলে আইনের ভিত্তিতেই চলতে হবে। দেশে কোনো অপরাধী আইনের বাইরে থাকবে না।
বার্ষিক সাধারণ সভার আলোচনায় সংগঠনের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ প্রমুখ।