বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে যারা ছিল তাদের চিহ্নিত করতে আগামী ডিসেম্বরের ১৬-৩১ তারিখের মধ্যে কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, সেই কমিশন কাজটি করে রিপোর্ট দেবে। হত্যার নেপথ্যে যারা ছিল, তাদের পরিচয় উদঘাটন করে দেবে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় সংসদে তিনি বলেন, একটা দায়বদ্ধতা থেকে এই মহান সংসদে ঘোষণা দিতে চাচ্ছি, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পরে এই বছর (২০২২ সাল) শেষ হওয়ার আগে আমরা কমিশন অব ডকুমেন্টস অ্যাক্টের আন্ডারে একটি কমিশন গঠন করব। কোনো প্রতিহিংসামূলক বা প্রতিশোধের জন্য নয়, এই কমিশনের দায়িত্ব হবে নতুন প্রজন্মের কাছে বেঈমানদের চিহ্নিত করে যাওয়া। নতুন প্রজন্ম, ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে আমরা দায়বদ্ধ থাকবো আমরা যদি এইসব বেইমান যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তাদের নতুন প্রজন্মের কাছে চিহ্নিত করে না দিয়ে যেতে পারি।
সংসদের ভেতরে ও বাইরে কমিশন গঠনের দাবি ওঠার কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, যারা প্রত্যক্ষ হত্যা করেছে তাদের বিচার হয়েছে। এখানে কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে কমিশন করা উচিত।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী আমাদের বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ করেছেন। সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলের মর্যাদা দিয়েছেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে। ২০৪১ সালের স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। সেই উন্নত দেশ তৈরি করতে হলে, উন্নত দেশকে টিকিয়ে রাখতে হলে সেই বেঈমানদের পরিচয় উদঘাটন করতে হবে। না হলে সেই দিনের প্রজন্ম আমাদের দোষী করবে। বলবে, আমরা তো তাদের পরিচয় দিয়ে যাইনি।