স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনাসহ সিলেট অঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করলেছেন।
আজ সকালে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকাসহ নেত্রকোনা ও সিলেট জেলার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শামিউল ইসলাম সাদি উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শণকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেন ও সেখানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং সেখানে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি হাসপাতালের মালিক, সংগঠন ও কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় করেন।
এ সময়ে জাহিদ মালেক বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে সম্ভাব্য রোগের প্রাদুর্ভব মোকাবেলা এবং কোভিড সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে দিকনির্দেশনা দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যাকবলিত মানুষগুলো আমাদেরই ভাই বোন। তাঁরা এখন পানিবন্দী জীবন-যাপন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক নির্দেশে তাঁদের ঘরে শুকনা খাবার নিশ্চিত করা হয়েছে এবং পানিবাহিত নানা রোগব্যাধি থেকে মুক্ত রাখতে স্বাস্থ্যখাত এগিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় এখন সাপের কামড় থেকে বাঁচাতে দ্রুত অ্যান্টিভেনম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন সরবরাহ করতে হবে। কোভিড সমস্যায় জরুরি ব্যাবস্থা নিতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে গুরুতর কোনো রোগীকে ঢাকায় প্রেরণ করতে হবে। বন্যাকবলিত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবার কোনো ঘাটতি মেনে নেয়া হবে না।
মত বিনিময় সভাশেষে মন্ত্রী সেখানে কর্মরত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিকট আরো কিছু ত্রাণ সামগ্রী দুর্গম এলাকায় পৌছে দিতে হস্তান্তর করেন। এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলেটে হজরত শাহজালাল (রাঃ) এর মাজার জিয়ারত করেন।