বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশের দক্ষতা প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বাড়াতে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর ফলে চিকিৎসা এবং তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টর থেকে সুইজারল্যান্ডে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ বাড়বে।
বুধবার (১৪ জুন) জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তর প্যালাইস ডেস ন্যাশনসে সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেইন বারসেটের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
‘জ্ঞানের অংশীদারত্ব এবং দক্ষতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ দেশের পক্ষে সই করেন জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. সুফিউর রহমান এবং সুইজারল্যান্ডের স্থায়ী প্রতিনিধি উর্গ লাউবার। পরে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, এই সমঝোতা স্মারক দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং জ্ঞান বিনিময়ের পথ প্রশস্ত করবে।
সংশ্লিষ্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সুইজারল্যান্ডের কিছু বিশেষ প্রতিষ্ঠান আছে, বিশেষ করে জুরিখে একটি ইনস্টিটিউট আছে, যেটি প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করে। এই ইনস্টিটিউট সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করে।
এখানে মূল লক্ষ্য হলো গবেষণা ও উদ্ভাবনে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য জুরিখের এই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংযুক্ত করা। সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশ থেকে মেডিকেল ও আইটি খাতসহ দক্ষ জনশক্তি আমদানি করতে চায়। এজন্য দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। সুইজারল্যান্ড প্রথমে বাংলাদেশি ইনস্টিটিউটের অধীনে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেবে, পরে তারা দক্ষ জনশক্তি নিয়ে আসবে।
ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।