রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে বুধবার সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ। সমাবেশকে কেন্দ্র করে যে কোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরবে। পরিস্থিতি জটিল হলে করণীয় সম্পর্কে পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে নির্দেশ দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে তারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকের আগে ২৩ শর্তে বিএনপিকে সমাবেশের ব্যাপারে লিখিত অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি।
বৈঠক সূত্র বলছে, অতীতে পুলিশের ওপর হামলার বিষয়টিও আলোচনায় আসে। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হবে না, তবে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করবে পুলিশ। বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা না দেওয়ার জন্য উচ্চপর্যায় থেকে মাঠ পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিএনপির সমাবেশ ঘিরে বিশৃঙ্খলা কিংবা নাশকতার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে নিরাপত্তার বিষয়ে যা যা করা দরকার আমরা সবকিছু করব। ঢাকা মহানগর পুলিশ নগরবাসীর নিরাপত্তা দেয়। যেকোনো ইভেন্ট (ঘটনা) আর রাজনৈতিক কর্মসূচি হোক সব সময় দিয়ে আসছে, এখনো দেবে। নিরাপত্তায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা হলে দেশের প্রচলিত আইন আছে। যার ওপরই হামলা হোক সেটা তো আইনের ওপর চলবে। ওটা আমাদের ইচ্ছায় চলে না।
পুলিশ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমাবেশ ঘিরে গুজবসহ সাইবার স্পেসে যে কোনো ধরনের অপরাধ ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার পেট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে। কোনো ঘটনার গুজব ছড়িয়ে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য তৎপর রয়েছে পুলিশ।
ডিএমপির ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, সাইবার স্পেসে নিয়মিত পেট্রোলিং করছে ডিবি। গুজবসহ সাইবার স্পেসে যেকোনো ধরনের অপরাধ ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।