নিজস্ব প্রতিনিধি।। বিজেআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত কেনাফের জাত এইচসি-৯৫ এর অপার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এই জাতের
গাছের উচ্চতা প্রায় ১৪-১৫ ফুট হয়, যেখানে ইন্ডিয়ান কেনাফের উচ্চতা মাত্র ৬-৭ ফুট।
এবার করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৭ হাজার হেক্টর পাটের আবাদ হয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত কেনাফ আবার হয়েছে ৯ হাজার হেক্টর। কিশোরগঞ্জ এলাকায় আজ থেকে সাত বছর আগে এই এলাকায় কেনাফ চাষ শুরু হয়। দিন দিন কেনাফ চাষ দিন দিন বেড়ে চলছে কারন কেনাফ চাষ তিন ফুট উচ্চতায় সময় পাতায় ছেয়ে যায় ফলে আগাছা জম্মাতে পারে না তাই নিড়ানী লাগে না, ফলে শ্রমিক খরচ হয় না। তাছাড়া পোকার আক্রমণও কম হয়। তাই কেনাফ চাষে উৎপাদন খরচ অন্যান্য পাট চাষের তুলনায় কম। বর্ষাকালে গবাদিপশুর সবুজ ঘাসের অভাব হয়ে থাকে, বিজেআরআই কেনাফের পাতা গরু ও ছাগলের খাবার হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
তাই কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে কেনাফ গাছ কর্তনের বিনিময়ে গাছের পাতা অন্য কৃষক গরুর খাবারের জন্য নিয়ে যায় এবং এতে গরুর স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায় ও মোটাতাজা হয়। কেনাফ আঁশের দাম তোষা ও দেশী পাটের দাম চেয়ে বেশী হয়ে থাকে । তাই কিশোরগঞ্জ এলাকায় কেনাফের চাষ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বোরো ধান (ব্রি ধান-২৮, ব্রিধান-২৯, ব্রিধান-৮৮, ব্রি ধান ৮৯, ব্রিধান-৯২, হাইব্রিড টিয়া,ধান, বিএডিসি হাইব্রিড SL-8H ) কাটার পর কেনাফ চাষ করা হয় এবং কেনাফ পাট কাটার পর আমন ধান(ব্রিধান–৪৯,ব্রি ধান-৭৫,ব্রি ধান -৮৭) চাষ করা হয়ে থাকে। কেনাফের বীজের চাহিদা চেয়ে যোগান কম।
কৃষকের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেনাফ পাট চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।