বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে পরিবারের ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসক আনার বিষয়ে অনাপত্তি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। ফলে আগামীকাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন চিকিৎসক আনতে আর বাধা থাকলো না।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিদেশ থেকে খালেদা জিয়ার পরিবারের ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসক আনার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।
এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনার উদ্যোগ নেয় তার পরিবার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী এক-দুদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন জন চিকিৎসক ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে তিন জন চিকিৎসক আসছেন তারা হলেন, ড. ক্রিসটো জর্জিয়াডেস, ড. জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন ও ড. হামিদ আহমেদ আব্দুর রব। জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অনুষদের অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের পরিচালক। তিনি রেডিওলোজি অ্যান্ড রেডিওলোজিকাল বিশেষজ্ঞ। আর সহযোগী অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলট একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলোজি বিভাগের পরিচালক। তিনি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
এদিকে সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতেও ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রাতে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে নেয়া হয়। তবে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সোয়া ১১টার দিকে তাকে আবারও কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
খালেদা জিয়া গত ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগেও কয়েকবার তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে খালেদাকে সিসিইউতে নেয়া হয়েছিল।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড অনেক দিন ধরেই তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছে। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন।