করোনা মহামারির পর ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবং অনলাইন ক্লাস বেড়ে গেছে। এ কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাড়িতে ওয়াই-ফাই রাউটার নিয়েছেন। এতে একদিকে কর্মজীবী মানুষ বাসায় অফিসের কাজ করতে পারছে, অন্যদিকে শিশুদের পড়াশোনা করাও সহজ হয়ে গেছে। এছাড়া পরিবারের প্রতিটি সদস্যও উচ্চ গতির ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে।
বলা যায়, ওয়াই-ফাই রাউটারের কারণে ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। যদিও প্রয়োজন এবং সুবিধার কারণে বেশিরভাগ মানুষ ২৪ ঘণ্টা রাউটার চালু রাখে। এর ফলে বাড়ছে মারাত্মক রোগের ঝুঁকি, যা আপনার অজান্তেই সর্বনাশ ডেকে আনছে শরীরের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াই-ফাই রাউটার যেমন অনেক সুবিধা দেয়, তেমনি এটি অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ গতির ইন্টারনেট সুবিধার জন্য দিনরাত ওয়াই-ফাই রাউটার চালু রাখা ঘরের ছোট শিশু, বৃদ্ধ এবং যুবকের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
সারাদিন ওয়াই-ফাই রাউটার চালু থাকলে এটি সামান্য বিকিরণ তৈরি করে। অল্প সময়ের জন্য এর সংস্পর্শে থাকা খুব বেশি ক্ষতিকর নয়। তবে দিনের বেশিরভাগ সময় এর সামনে থাকলে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজ হয়ে গেলে ওয়াই-ফাই রাউটার বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
ওয়াই-ফাই রাউটার থেকে নির্গত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ক্যানসার ও হৃদরোগের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে রাতেও ওয়াই-ফাই রাউটার চালু থাকলে ব্যবহারকারীদের স্ক্রিন টাইম অনেকগুণ বেড়ে যায়। এতে ঘুমের সমস্যা হয়। তাই রাতের বেলা নিয়ম করে ওয়াই-ফাই রাউটার বন্ধ রাখা দরকার।
অপরদিকে ওয়াই-ফাই রাউটার থেকে নির্গত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। ওয়াই-ফাই রাউটার থেকে ক্রমাগত নির্গত নন-থার্মাল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশন শুধুমাত্র শিশুদের ওপরই নয়, ভ্রূণের বিকাশেও খারাপ প্রভাব ফেলে।
শুধু শিশুদের নয়, প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরের জন্যও এটি খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। এই বিকিরণ টিস্যুর বিকাশকেও প্রভাবিত করে। এছাড়াও এটি অনিদ্রা এবং ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। তাই মানসিক একাগ্রতা হ্রাস, শুক্রাণুর উপর খারাপ প্রভাব এড়াতে ওয়াই-ফাই রাউটার সারাক্ষণ চালু রাখা যাবে না।