বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। অনেকে সুযোগ বুঝে দেশ ছাড়তে পারলেও আটকে পড়া অনেক এমপি-মন্ত্রী ও অসংখ্য নেতাকর্মী প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে একাধিক মন্ত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। তাদের বিমানবন্দর থেকে আটকের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সবশেষ মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে বিমানবন্দরে আটক করা হয়।
জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। পরে তিনি প্রতিবেশী ভারত সীমান্তের একটি স্থলবন্দর দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব জানান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার মোবাইল ফোন দুটি বন্ধ করে দেশত্যাগ করেছেন। সোমবার সকাল থেকে তাকে ঢাকায় পাওয়া যায়নি। সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী রাজধানীর বনানীর বাসায় অবস্থান করেন। তবে রাতেই তার দেশত্যাগ করার কথা ছিল বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জনসমাগম এড়িয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই নিজ বাসা বা সরকারি বাংলোতে না গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ হলে সারাদেশ জুড়ে এখন উৎসবরে আমেজ বইছে। পড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে সব জায়গায় এখন উৎসবের আমেজ বইছে।