বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ নিরাপদ সুপেয় পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ ছাড়া মৌলিক পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য নিয়মিত পানির নিশ্চয়তা নেই ৪৬ শতাংশ মানুষের। আন্তর্জাতিক পানি দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব বলা হয়।
ইউএন ওয়াটার অ্যান্ড ইউনেস্কোর প্রকাশ করা ওই প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে পানির অপচয় রোধের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, অতিরিক্ত ব্যবহার এবং দূষণের কারণে পানির সংকট স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে যেসব অঞ্চলে এখনো পর্যাপ্ত পানি রয়েছে এবং যেসব অঞ্চলে এরই মধ্যে সংকট দেখা দিয়েছে উভয় অঞ্চলেই মৌসুমি পানি সংকট বাড়ছে।
পানি নিয়ে ৪৫ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে জাতিসংঘের প্রথম বড় কোনো সম্মেলনের প্রাক্কালে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলবে আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত।
জাতিসংঘ ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট-২০২৩এ বৈশ্বিক সংস্থাটির লক্ষ্যমাত্রা আর বাস্তবতার মধ্যে বিশাল ব্যবধানের একটি স্পষ্ট চিত্র উঠে এসেছে। জাতিসংঘ ২০৩০ সাল নাগাদ সব মানুষের জন্য সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিতের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।
প্রতিবেদনটির এডিটর ইন চিফ রিচার্ড কনর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বছরে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন থেকে ১ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে। তিনি বলেন, বঞ্চিত ২০০ কোটি মানুষের জন্য সুপেয় পানি আর ৩৬০ কোটি মানুষের জন্য স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করতে বিনিয়োগকারী, দাতা, সরকার ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা স¤প্রদায়ের মধ্যে অংশীদারত্ব জোরদার করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেসকোর প্রকাশিত এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিবছর বিশ্বে ১ শতাংশ করে পানির ব্যবহার বেড়েছে। জনসংখ্যার বৃদ্ধি, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও ভোক্তা আচরণে পরিবর্তনের ফলে ২০৫০ সাল নাগাদ একই হারে পানির ব্যবহার বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা ও সিএনএন