প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার মাধ্যমেই জাতি উন্নত জীবন পেতে পারে। নিজেদের ভাষার পাশাপাশি একাধিক ভাষা শেখার প্রবণতা থাকতে হবে। স্মার্ট হতে হলে বিদেশি ভাষায় কথা বলতে হবে এটা ঠিক নয়।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাকে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
অনুবাদ নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনুবাদ একান্তভাবে দরকার। বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে অন্য ভাষায় যতটা অনুবাদ হবে, বিশ্বের মানুষ আমাদের ততটা জানবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের যুগে বাংলা ভাষা অনুবাদ হয়ে আসছে। তবে, এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক সময় অদ্ভূত অনুবাদ হয়। এ বিষয়ে তদারকি করতে হবে। ভাষার উন্নয়নে বাংলা একাডেমি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ হোক। অস্ত্রের প্রতিযোগিতার অর্থ শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যয় হোক। শিক্ষা এবং গবেষণা কর্মে খরচ করারও আহ্বান জানাই।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগ ও আন্দোলনের ফলেই রাষ্ট্রভাষা বাংলা পেয়েছি। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে মানুষকে অনেক ভাষা শিখতে হয়। কিন্তু মাতৃভাষাকে লালন ও চর্চা করা একটি জাতির মূল কর্তব্য।’
ইতিহাস জানার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। পঁচাত্তরের পর এমন সময় এসেছিল, আমরা যে বিজয়ী জাতি তাই ভুলিয়ে দেয়া হয়েছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু কিছু পরিবার হঠাৎ টাকা পয়সার মালিক হয়ে গেছেন। তারা মনে করেন ছেলেমেয়েরা ইংরেজিতে কথা বললে খুবই দক্ষ হয়ে গেল। ইংরেজিতে কথা বলে স্মার্ট হয়ে গেল। ৬ হাজার বিদেশি শব্দ রয়েছে, যেটা সহজে গ্রহণ করা যায়। কিন্তু স্মার্ট হতে হলে শুধুমাত্র একটা ভাষা শিখতে হবে এবং সে ভাষায় কথা বলতে হবে আমি সেটা বিশ্বাস করি না। নিজের ভাষা শিখে অন্যের ভাষাও শেখা যায়।’