আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো দেশের ভিসা নীতি বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্রে প্রভাব ফেলতে পারবে না। জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই দেশের গণতন্ত্রের পথরেখা নির্ধারিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো ভিসা নীতি প্রয়োগ বা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না। আওয়ামী লীগ পরোয়া করে দেশের জনগণকে।
রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর আস্থা রেখেই সরকার পরিচালনা করে আসছে। জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার যে কোনো ধরনের অপতৎপরতাকে প্রতিহত করবে দেশের জনগণ।
কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বরাবরের মতো তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছে। তাদের মনে রাখা উচিত, তারা কোনো আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারেননি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদার মানবিকতার কারণে একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও খালেদা জিয়া তার নিজ বাসায় বসবাস করছেন এবং নিজের পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এ কারণে বিএনপি নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। কিন্তু বিএনপি তা না করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। একইসঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে আইনবিরোধী কথাবার্তাও বলছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা না রেখে গায়ের জোরে ফ্যাসিস্ট কায়দায় দাবি আায়ের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র অকার্যকর করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা থেকে সরে আসুন। জাতিকে বিভক্ত করার দুরভিসন্ধি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক চেতনা ও সংস্কৃতিকে বিনষ্ট করার দায় তাদের নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করলে যে কোনো উপায়ে তা প্রতিহত করা হবে।