আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনও ঢাকায় বসে সিসি টিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন। কেউ ভোট দিতে না পারলে তাকে চিৎকার করে বলার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঢাকায় বসে সিসি টিভি ক্যামেরা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১০ জুন) দুপুর দুইটার দিকে সিলেট মহানগরীর মেন্দিবাগস্থ জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভোটারদের আশ্বস্ত করে সিইসি বলেন, আমরা সিসিটিভির মাধ্যমে সব কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। কোনো ভোটার সঠিকভাবে ভোট দিতে না পারলে আপনারা চিৎকার করে বলবেন। আমরা সেখান থেকে বসে ব্যবস্থা নেব।
প্রার্থীদের সতর্ক করে সিইসি বলেন, আচরণবিধির অভিযোগ এলে প্রার্থিতা বাতিল হবে। আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়।
ইভিএম নিয়ে বিরোধী দলগুলোর আপত্তি নাকচ করে দিয়ে এর পক্ষে সাফাই গেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএমে কোনো ভূত-প্রেত নেই। এটা সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি, সব বিচার-বিশ্লেষণ করে কিছু পাওয়া যায়নি। যদি কেউ প্রমাণিত করতে পারেন, তাহলে আমি নিজেই এর দায়ভার নেব। তাই আপনারা সময় মতো ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। কোনো বিলম্ব করবেন না।’
পলিথিনে মোড়ানো ব্যানার-পোস্টার নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা এত নিষ্ঠুর হতে পারব না। এটা নিয়ে আইন আছে। পুলিশ চাইলে পলিথিনে মোড়ানো ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলতে পারে। আর এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই জিনিসটা করা যাবে না।
প্রচারণার ব্যাপারে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভবিষ্যতে প্রচারণার ধরন পাল্টে যেতে পারে। এটা সময়ের প্রয়োজনে হয়ে যাবে। তথ্যপ্রযুক্তি এতে যোগ হবে। প্রার্থীরা ফেসবুকে প্রচারণা চালাবে। এটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে, আগামীতে কীভাবে প্রচারণার ধরন আনা যায়।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ইলিয়াছ শরিফ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসানসহ অন্য মেয়র প্রার্থী, কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিল প্রার্থীরাসহ নির্বাচন কাজে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে।