জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৪৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র। মাঠে রয়েছেন ১৩ হাজার ছয়শ’ জন স্বেচ্ছাসেবক।
জেলার ৭০টি ইউনিয়নে ও সাতটি উপজেলায় গঠন করা হয়েছে একটি করে মেডিকেল টিম। খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। একইসাথে একহাজার ৩০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী এসব তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসক জানান, ঘুর্ণিঝড় মোবাকেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে। দুর্যোগকালে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষদের জন্য শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩০০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। এগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো ইতোমধ্যে মেরামত করা হয়েছে। তারপরও সকল কর্মকর্তাদের বিভিন্ন পয়েন্টে পাঠানো হয়েছে, যাতে করে ঘূর্ণিঝড়ে কোনো বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সাথে সাথে তা মেরামত করা যায়।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিবেক সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তামিম আল ইয়ামিন, ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. দেলোওয়ার হোসেন প্রমুখ।বাসস