সফিকুল ইসলাম রানা : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নিশ্চিতপুর গ্রামের সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শহিদ উল্লা মাষ্টার (৭০) ও তার পরিবারের উপর হামলা করা হয়েছে। হামলার পরিপেক্ষিতে শহিদ উল্লা মাষ্টার বাদি হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১১, তারিখ-১৫ এপ্রিল ২০২২খ্রি.। মামলায় প্রতিবেশি সাজেদুল ইসলাম (২৫) কে প্রধান আসামী করে ৫জনের নাম উল্লেখপূর্বক আরো অজ্ঞাতনামা ৩-৪জনের নামে এজাহার দায়ের করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শহিদ উল্লা মাষ্টারের প্রতিবেশি ফাজিল উদ্দিনের সাথে জমি সংক্রান্ত মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। ১৪ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শহিদ উল্লা মাষ্টারের নিজ বাড়ির প্রতিবেশি ফাজিল উদ্দিন ও তার ছেলে সাজেদুল ইসলাম (২৫), শিশির (২২), স্ত্রী নারগিছ বেগম (৪৫), আফিজ উদ্দিন (৫২)সহ অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিরা জায়গা জমি সংক্রান্তে পূর্ব বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠি, সোটা, দা, ছেনা, লোহার রড ইত্যাদি দেশিয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের সহযোগী অজ্ঞাত নামা ৩/৪জনকে সাথে নিয়া বে-আইনী জনতাবন্ধে অনধিকারে বাড়ীর আঙ্গীনায় এসে প্রায় ১৫-১৬টি বিভিন্ন প্রজাতের প্রায় ৫ বৎসর বয়সী গাছ গাছড়া কেটে ফেলে। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
প্রতিবাদ করলে সকল আসামীরা শহীদ উল্লাহ মাষ্টারের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় আরিফ হোসেন (২৫) ও তানিয়া আক্তার (২৫)সহ আরো ২জন গুরুত্বর আহত হয়। আহতদের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
শহিদ উল্লাহ মাষ্টার বলেন, আমি প্রতিদিনের ন্যায় দোকানে যাই। বাড়িতে ডাক-চিৎকার শোনে গিয়ে দেখি আমার বাড়ির বেড়া ভেঙ্গে গাছ-গাছরা কেটে ক্ষতি করতেছে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বাঁধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দা, ছেনা নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে।
ফাজিল উদ্দিনের স্ত্রী নারগিছ বেগম বলেন, বিরোধীয় জমিতে তারা ঘর তোলার চেষ্টা করে, আমরা বাঁধা দেই। শহীদ উল্লা মাষ্টার’সহ পরিবারের লোকজন আমাদের উপর আক্রমন করলে আমরা প্রতিহত করি।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মামলা নেয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।