করোনা মরামারিতে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি স্বর্ণপদক পেল ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সাদনান তাজ আপন।
বুধবার (১ জুন) বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি হবিগঞ্জের জেলা কমান্ড্যান্ট অরুপ রতন পাল নিজ কার্যালয়ে পুরষ্কারটি তার হাতে তুলে দেন।
সাদনান তাজ আপন বলেন, করোনা মহামারিতে পুরো দেশ যখন স্থবির হয়ে পড়েছিলো। সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিলো, মানুষের জন জীবনে নেমে এসেছিলো চরম বিপর্যয়।
সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজনের কর্মক্ষেত্র যখন বন্ধ হয়ে যায়। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমার মাথায় আসে কীভাবে ঢাকা শহরের নিম্মআয়ের মানুষদের বিনা পয়সায় গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া যায়।
সেই চিন্তা থেকে রিক্সা ভাড়া নিয়ে বিনে পয়সায় মানুষদের তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে থাকি। চেষ্টা করেছি মানুষের পাশে থাকার জন্য। আমি একজন ছাত্রলীগ কর্মী তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকেই অসহায় মানুষদের পাশে ছিলাম। ভবিষ্যতেও জাতির যে কোন ক্রান্তিলগ্নে পাশে থাকব।
জানা যায়, ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে নিজে রিক্সা চালিয়ে অসহায়, হতদরিদ্র এবং অসুস্থ রোগীদের ফ্রী রিক্সা সার্ভিস দেন। যা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক অনন্য নজির হিসেবে যমুনা টেলিভিশনের মাধ্যমে সারাদিন ব্যাপী প্রচার হয়। তার এই মানবিক কর্মকাণ্ড বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারাদেশে ইতিবাচকভাবে প্রচারিত হয়েছে।
এছাড়াও, করোনাকালীন সময়ে রোজা রেখে নিজের গ্রাম, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ভাদিকারা গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে তাদের বাসায় পৌঁছে দেয়া। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি মাস্ক বিতরণ থেকে শুরু করে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িছেন বিভিন্নভাবে।
তিনি নিজের গ্রামের করোনা মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্য হয়ে গ্রামে লক ডাউন থেকে শুরু করে অনেক মানবিক কর্মকাণ্ডও করেছেন।
সাদনান তাজ আপন হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ভাদিকারা গ্রামের সন্তান। তিনি হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও লাখাই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এবং উত্তর ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী।সূত্র-আমারসংবাদ