ইউক্রেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে দুই পক্ষ মানবিক ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তুরস্কের আন্তালিয়াতে এ বৈঠকে বসেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
কুলেবা বলেন, ইউক্রেনে মানবিক ইস্যুতে একটি সমাধানে পৌঁছাতে দুই পক্ষ চেষ্টা অব্যহত রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
তিনি জানান, তিনি আবারও এ ধরনের বৈঠক করতে প্রস্তুত রয়েছেন ‘যদি বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা ও সমাধান খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’
তিনি আরও বলেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন, যখন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন তখন শান্তি ও নিরাপত্তার মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করাটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
তুরস্কের আন্তালিয়া শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এ বৈঠক শুরু হয়। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিত সাভাসগলুর আমন্ত্রণে বৈঠকে অংশ নিতে বুধবারই তুরস্কে পৌঁছান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
পরে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবাও তুরস্কে পৌঁছান।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর এ প্রথম দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হতে যাচ্ছে।
এর আগে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে বেলারুশ সীমান্তে তিন দফার শান্তি আলোচনা হয়। কিন্তু এ আলোচনার অগ্রগতি দেখা গেছে সামান্য।
তুরস্কে যাওয়ার আগে একটি ভিডিও বার্তা দেন দিমিত্র কুলেবা। ভিডিও বার্তায় তিনি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, দোষারোপের দৃষ্টিভঙ্গি বাদ দিয়ে শুভচিন্তা নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে।
বুধবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা জানান, ইউক্রেনকে জোটনিরপেক্ষ করার লক্ষ্য অর্জন নিশ্চিত করবে মস্কো। আলোচনার মাধ্যমেই তা অর্জন করার পক্ষে তারা।
আন্তালিয়ার এ আলোচনার মধ্য দিয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দরজা খুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।