নাহিদুল ইসলাম হৃদয়, মানিকগঞ্জ :
বিয়ের পর থেকেই মাজেদা বেগমের সাথে দুর্ব্যবহার শুরু করে আবুল । বেশ কয়েকদিন পরিবারের কাছে টাকাও দাবি করে এবং মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলো। যে কথা সেই কাজ শেষ রক্ষা হলো না মাজেদার ।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে মাজেদা বেগম (৩৩) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে ধলেশ্বরী নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী। উপজেলার ঘিওর সদর ইউনিয়নের কুস্তা (নদীর পাড়) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী আবুল হোসেনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবুল হোসেন তার স্ত্রী মাজেদা আক্তারকে পানিতে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘিওর থানার ওসি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।
নিহতের লাশ উদ্ধারে পুলিশ ও শিবালয় ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের স্পেশাল ডুবুরী দল নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে মঙ্গলবার দিনভর অভিযান চালিয়েও মরদেহ উদ্ধার করতে পারে নি।উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঘিওর উপজেলার ঘিওর সদর ইউনিয়নের কুস্তা গ্রামের মৃত মো: আব্দুল্লাহর ছেলে মোঃ আবুল হোসেন। তার স্ত্রী মাজেদা আক্তারের বাড়ি একই উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বালিয়াবাঁধা গ্রামের মৃত ছবেদ আলীর মেয়ে । পারিবারিক সূত্রে আরো জানা যায়, ১০ বছর আগে মাজেদার বিয়ে হয়েছিল রাজবাড়ীতে। বছর তিনেক আগে পূর্বের স্বামী নুরুল ইসলামের সাথে বিচ্ছেদ হয়।সেখানে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। এরপর মাজেদা বাবার বাড়ি থেকে একটি গার্মেন্টেসে চাকরী করতেন। গত ৭ মাস আগে আবুল হোসেনের সাথে গোপনে বিয়ে হয় তাদের।
এ বিষয়ে ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, নিহত ওই গৃহবধূর পরিবার থেকে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে । এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ঘিওরের কুস্তা গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে আবুল (৪০) কে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। গত ১৯ জুন দিবাগত রাতে স্ত্রীর লাশ গুম করার জন্য নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে জানায় আবুল । এ ঘটনায় নদীতে লাশ খোঁজা হচ্ছে । এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা হতে পারে । বিস্তারিত পরবর্তিতে জানিয়ে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।