সিনিয়র সাংবাদিক, দৈনিক করতোয়ার চিফ রিপোর্টার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমদ অটল মারা গেছেন। আজ শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১২টার দিকে তার লাইফ সাপের্ট খুলে দেওয়া হয়। সৈয়দ আহমদ অটলের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে রাফসান জানি জিসান।
জানা যায়, আজ বাদ জুমা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জিসান জানান, বেশ কিছু দিন ধরে সৈয়দ আহমদ অটল বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আসগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সৈয়দ আহমদ অটলের জন্ম বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর ১৯৫২ সালের ১০ মার্চ। তিনি ছয় ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
বগুড়ার চকযাদু প্রাইমারি স্কুল, বাংলা স্কুল, সরকারি আযিযুল হক কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজে লেখাপড়া করেন। ছাত্র অবস্থায় তিনি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ অংশ নেন। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।
প্রগতিশীল চেতনায় বিশ্বাসী সৈয়দ আহমেদ অটল পেশা হিসেব বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক করতোয়ায় ১৯৭৮ সাল সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। সেখান থেকে ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠাতা বার্তা সম্পাদক হিসাব দৈনিক উত্তরাঞ্চলে যোগদান করেন। ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে আবারও দৈনিক করতোয়ায় (ঢাকায়) যোগদান। ঢাকায় দীর্ঘদিন রিপোর্টার হিসেব কাজ করার পর ২০০৮ সালে করতোয়ার চিফ রিপোর্টারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একই পদ কর্মরত ছিলেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সৈয়দ আহমেদ অটল জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজ), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও বগুড়া প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিলেন। এছাড়া ডিআরইউ’র সাবেক দফতর সম্পাদক এবং বগুড়া প্রেসক্লাবের দুইবার কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। জড়িত ছিলন খেলাঘর আসর ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে। সৈয়দ আহমেদ অটলের আলোচিত বই ‘লড়াই’। বইটি ২০১৭ সালের অমর একুশের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়।