‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ এই প্রতিপাদ্যে মালদ্বীপে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১১টায় হাইকমিশনের হলরুমে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। হাইকমিশনের কন্সুলার সহকারী এবাদুল্লাহর সঞ্চালনায়, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সুচনা করা হয়। শুরুতে স্বাগতম বক্তব্য প্রদান করেন হাই কমিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো: সোহেল পারভেজ। প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন মালদ্বীপ আওয়ামীলীগের সভাপতি দুলাল মাতবর।
দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব মিজানুর রহমান ভুঁইয়া এবং দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম। এরপর শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে নির্মিত বিশেষ একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা পর্বে, হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১১ বছরের ছোট্ট নিষ্পাপ শিশু রাসেলের আকুতিও নরপশুদের মন গলাতে পারেনি। মাত্র ১০ বছর ৯ মাস ২৭ দিন বয়সে এই প্রতিভাবান শিশুর জীবনপ্রদীপ নিভে যায়। খুনিরা ব্যক্তি শিশু রাসেল কে হত্যা করলেও তাঁর স্মৃতি ও চেতনা হত্যা করতে পারেনি। শেখ রাসেল এর স্মৃতি ছড়িয়ে দিতে ও বাংলাদেশের শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়সমূহে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, বিভিন্ন স্থানে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ তার উদাহরণ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মালদ্বীপ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন, এনবিএল মানি ট্রান্সফার প্রা: লি: এর ডিরেক্টর মো. হান্নান খান কবির, ফোর এল ইন্টারন্যাশনাল এর চেয়ারম্যান হাদিউল ইসলাম। শেখ রাসেল-সহ ও ১৫ আগস্ট-এ শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে একটি কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করা হয়। এছারাও দিবসটি উপলক্ষে বিগত ১৫ অক্টোবর হাইকমিশনের হলরুমে প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু কিশোরদের জন্য একটি চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।