মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. রিপন মাতাব্বর (৪২) ও তার ছোট ভাই মো. বাদল মাতাব্বর (৩৮)। তারা একটি চাবি দিয়ে প্রায় দুই শত মোটরসাইকেল চুরি করেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
শনিবার ঢাকা মহানগর এলাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশের গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ দুইটি চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১১টি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করে। এসময় দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২০ জুন ভাটারা থানায় এবং এ বছরের ৫ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় ২টি চুরির মামলা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যদের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চুরি ও চোরাই মোটরসাইকেল কেনা-বেচা কাজে জড়িত।
তাদের চুরির কৌশল সম্পর্কে জানা যায়, চক্রের একজন সদস্য প্রথমত মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য করে এবং তাদের অন্য সদস্যরা মোটরসাইকেলটি কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে তাদের সাথে থাকা ‘মাস্টার চাবি’ যার নাম তারা দিয়েছে ‘আলিবাবা’ তা দিয়ে মোটরসাইকেলের ঘাড় লক ভেঙে মোটরসাইকেল চালু করে সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করত। তারা এবং অন্য সদস্যরা দীর্ঘ ৮ বছর ধরে রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল, টিএসসি চত্ত্বর, নগর ভবন, গুলিস্থান, ধানমন্ডি লেক, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩টি করে মোটরসাইকেল চুরি করেছে। প্রায় দুইশত মোটরসাইকেল চুরির কথা গ্রেপ্তারকৃত দুই ভাই স্বীকার করেছেন।