পিরোজপুরের এক অসহায় সংগ্রামী নারীর কষ্টের কথা দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশের পর ওই নারীর পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের বৃহত্তম শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা।
জানা যায়, জেলার শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরত্বে একটি সরকারি আবসনে বসবাস করেন মুক্তা রানী ও তাঁর পরিবার। তিনি একটি টেইলারে কাজ করতেন। মহামারি করোনায় তাঁর কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় বন্ধ হয়ে যায় সন্তানদের পড়াশোনা। পরে ভাড়ায় একটি সেলাই মেশিন চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন, এখন সেটিও নেই।
এমন অসহায়ত্বের কথা দৈনিক কালের কণ্ঠে উঠে এলে বিষয়টি নজরে আসে বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃপক্ষের। মুক্তাকে স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে একটি সেলাই মেশিন উপহার দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে সেলাই মেশিনটি তাঁর হাতে তুলে দেন পিরোজপুর সদর উপজেলার ইউএনও বশির আহমেদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ডিলার মেহেদী হাসান, জেলা শুভসংঘের সহসভাপতি প্রসেনজিৎ মিত্র, অর্থ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আদিল শাদমান, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক স্বর্ণা খান, সদস্য নুসরাত প্রমুখ।
নতুন মেশিন পেয়ে খুশি মুক্তা রানী। তিনি বলেন, ‘এই নতুন মেশিন দিয়ে আমি আবার কাজ শুরু করব। আমি আমার ছেলেদের পড়াশোনা করাতে চাই। বসুন্ধরা গ্রুপকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ‘
ইউএনও বশির আহমেদ বলেন, ‘দৈনিক কালের কণ্ঠকে ধন্যবাদ। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা তুলে ধরার জন্য। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ বসুন্ধরা গ্রুপকেও। আমরা চাই সবাইকে নিয়ে দেশের সকল অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। আগামীতে কেউ আর গৃহহীন থাকবে না, অনাহারেও থাকবে না। ‘