মো: আহসানুল ইসলাম আমিন ,স্টাফ রিপোর্টার : ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশ ও আনন্দ আয়োজনের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখানের শুলপুরে পালিত হয়েছে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব পবিত্র ইষ্টার সানডে। ইষ্টার সানডে উপলক্ষে উপাসনালয়সহ বাসা-বাড়ি সাজিয়েছেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। জেলার একমাত্র সিরাজদিখানের কেয়াইন ইউনিয়নের শুলপুর গ্রামে অবস্থিত ‘সাধু যোশেফ গির্জা’। ৩টি গ্রামের প্রায় ৩৮৫ টি পরিবারে উৎসব পালন করেছে। গতকাল রবিবার সকাল ৮ টায় সমবেত প্রার্থনায় কামনা করা হয়েছে বিশ্বকল্যাণ। প্রার্থনা পরিচালনা করেন সাধু যোশেফ গির্জার ফাদার ড.লিন্টু ফ্রান্সিস ডি কস্টা ।
সাধু যোসেফ গীর্জার ফাদার ড.লিন্টু ফ্রান্সিস ডি কস্টা বলেন, ‘ঊনপঞ্চাশ দিনের রোজা পালন শেষে এ দিনে বিশ্বের সব খ্রিস্টভক্তদের জীবনে বয়ে আনে নির্মল আনন্দ ও শান্তি। গুড ফ্রাইডেতে বিপথগামী ইহুদীরা তাকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করেছিল। মৃত্যুর তৃতীয় দিবস অর্থাৎ রোববার তিনি মৃত্যু থেকে জেগে উঠেছিলেন। মৃত্যুকে জয় করে যিশু সকল ক্লান্তি দূর করার জন্য আবারও মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। এ দিনটিকেই আমরা ইষ্টর সানডে হিসেবে পালন করি ।
প্রার্থনার পাশাপাশি চলে ধর্মীয় সংগীত পরিবেশনা, প্রসাদ বিতরন ও আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় পবিত্র ষ্টার সানডে’র গুরত্ব ও মানবজীবনে তার প্রয়োগ সম্পর্কে গুরগম্ভীর দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা করা হয়। খ্রীষ্টান ধর্মের আদি পিতা যিশু খ্র্রীষ্টের এ ধরায় দ্বিতীয়বার আগমনের এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজনে দিনটিকে উদযাপন করেছে সিরাজদিখানের শুলপুরের খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সকলে। ইউপি সদস্য নয়ন রোজারিও জানান, যিশু খ্রিষ্ট তিনদিন মৃত থাকার পর বছরের এই দিনে পুনরায় জীবন ফিরে পান। সেই থেকে আমরা খ্রীষ্টান ধর্মের অনুসারীরা দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে থাকি।সিরাজদিখান প্রশাসন সব সময় আমাদের সহযোগীতা করে থাকে ।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শরীফুল আলম তানভীর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, খ্রিীস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবে আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার কোন কমতি ছিলনা,কোন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য আমরা সেখানে আমাদের নজড় দারিও আমরা বাড়িয়েছিলাম এবং আশা করছি প্রতিবছর তারা আনন্দ আয়োজনের মাধ্যমে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করবে ।