রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী, বিশেষ করে অফিসগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। কারণ আজ শনিবার ভোর থেকেই শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। যা চলে টানা এক দেড় ঘণ্টা।
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হাঁটু পানিতে ডুবে গেছে মিরপুর ১০, ১১, ১৪, ২ নম্বর ও আশপাশের এলাকা। রাস্তায় পানি বেশি হওয়ায় যাত্রীবাহী বাস চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে। এ রকম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। সকালে অফিস বা যে কোনো কাজে বেরোনো মানুষ পরে বিপত্তিতে। একদিকে বৃষ্টি, আবার রাস্তায় পানি। দুইয়ে নাকাল নগরবাসী।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঢাকায় সকালে ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর এটা এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে অতিবৃষ্টি। আগে ঢাকাসহ দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃষ্টির কারণে সকালে রাস্তায় মানুষও ছিল কম। একাধিক পরিবহনের চালক বলেন, প্রতিদিন সকালে যত যাত্রী পাই আজ অতটা নেই। রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় অনেক মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি।
মিরপুরের এক সাংবাদিক জানান, দেড়-দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতেই কাজীপাড়া থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত বেগম রোকেয়া সরণিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পূর্ব কাজীপাড়া থেকে বের হয়ে মেট্রো স্টেশনের নিচে আসার আগে থেকে রাস্তায় হাঁটু পানি জমে গিয়েছিল। মেইন রোডের আটকে থাকা পানির পরিমাণ আরও বেশি। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের অর্ধেকেরও বেশি ডুবে যায় পানিতে। এছাড়া মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্ত্বরের চারপাশে হাঁটু পানি। ১০ নম্বর থেকে ১৪ ও ২ নম্বরের দিকে যাওয়ার রাস্তাও তলিয়ে গেছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ঢাকায় সকালে ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এক ঘণ্টা ভালোমতো বৃষ্টিপাত ছিল। সারা দিন আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শেষ রাতে আবার অল্প হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ১৩-১৪ তারিখে বৃষ্টির আবার সম্ভাবনা আছে। এরপর ১৯ তারিখের দিক বৃষ্টি হতে পারে।