যশোরের অভয়নগরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন জহিরুল ইসলাম বাবু (৩৩) নামে এক যুবক। তিনি যশোর সদর উপজেলার বাসুন্দিয়া জগন্নাথপুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে।
শুক্রবার দুপুরের পর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- জহিরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (২৮) ও তার দুই মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (৯) ও সাফিয়া খাতুন (২)।
বসুন্দিয়া ক্যাম্পের এএসআই সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে জহিরুল ইসলাম বাবুর শ্বশুরবাড়ি অভয়নগরের সিদ্দিপাশা গ্রামে ছিলো। শুক্রবার দুপুরের পর বাবু তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে নিজের বাড়ি বসুন্দিয়ার জগন্নাথপুর গ্রামে রওনা দেয়। পথিমধ্যে অভয়নগরের চেঙ্গুটিয়া চাপাতলা এলাকায় পৌঁছালে একটি শাল বাগানের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তিনজনের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়িতে চলে আসে।
হত্যার পর বাবু নিজেই বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে আত্মসমপর্ণ করে। তাকে হেফাজতে নিয়ে অভয়নগর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এএসআই সাইফুল ইসলাম আরও জানান, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা জানতে পারেননি। তবে পারিবারিক কলোহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, বাবু পুলিশ হেফাজতে আছে। তাকে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।